সৈয়দ জাহিদুজ্জামানঃ কেএমপি’র আড়ংঘাটা থানা পুলিশ হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন, মূল আসামী গ্রেফতার ও বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান হত্যাকান্ডের আলামত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। কেএমপি পুলিশের সূত্রে জানা যায়, আড়ংঘাটা থানার হত্যা আবুল কালাম শেখ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতী কাজীপাড়া নিবাসী শেখ ওমর আলীর পুত্র শেখ মজলু ওরফে মজনু (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে। মজনুকে গ্রেফতারের পর এ সংক্রান্তে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মজনু স্বেচ্ছায় হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী স্বেচ্ছায় হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার সহযোগী আসামী মোঃ ফরহাদ হোসেন (৫০), পিতা-শেখ আব্দুর রউফ শমসের, সাং-তেলিগাতী রাজাপুর, থানা-আড়ংঘাটা, জেলা-খুলনাদ্বয় মিলে কিভাবে ভিকটিম মৃত শেখ কালাম (৫৫),
পিতা-গহর আলী, সাং-তেলিগাতী মধ্যপাড়া, থানা-আড়ংঘাটা, খুলনাকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে গালা কেটে হত্যা করেছে তার বর্ণানা দেন। গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ মজলু ওরফে মজনু (৩৫) এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার সময় খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ী গেট এলাকা হতে আসামী মোঃ ফরহাদ হোসেন (৫০)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামীদ্বয়ের প্রদেয় তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়াটি গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ফরহাদ হোসেন (৫০) এর হেফাজত থেকে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। উল্লখ্য গত রবিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে আবুল কালাম শেখ বাইপাস সড়কের পার্শ্ববর্তী নিজস্ব ঘের থেকে সবজি
তোলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুরের পর বাড়ি না ফেরলে নিহতের ভাইয়েরা তার খোঁজে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় তারা ঘেরের পাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তারা মহসিন মোড়ল নামে জনৈক ব্যক্তির মাছের ঘেরে তার পরনের লুঙ্গি ও গামছা পানিতে ভাসতে দেখে। এক পর্যায়ে তারা ঘেরের পানির ভিতর ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিহতের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আড়ংঘাটা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০৭, তাং-২২/১০/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।