দিঘলিয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে চুরির ছত্রিশ দিন পার হলেও চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার হয়নি

IMG_20231016_150410.jpg

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনাঃ দিঘলিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনার ৩৬ দিন পার হলেও চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধারে সফল হতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করলেও চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এলাকার একটা সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দিঘলিয়ায় সিরিজ চুরি সংঘটিত হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। দিঘলিয়া থানার আসামী গ্রেফতার ও ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে আসামী ছেড়ে দেওয়ার সাথে চোর সিন্ডকেটের সম্পৃক্ততা আছে এমনই অভিমত ব্যাকত করেছেন এলাকার শান্তিকামী লোকজন। তবে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তফা শাহিনুজ্জামান জানান, কাউকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয় তার জানা নেই।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ এদিকে চোরাইকৃত স্বর্ণালংকার, অন্যান্য মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তফা শাহিনুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান। তিনি আরও বলেন, চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধারে আমরা খুব কৌশলে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব দ্রুত সময়ে চুরির সাথে জড়িত সকল মহলসহ চোরাইকৃত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামালসহ সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

গ্রেফতারকৃত একজনের স্বীকারোক্তিতে ১০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪ জনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত নিয়ে তদন্তকাজ অব্যাহত আছে। খুব শীঘ্রই চোরাই মালামাল উদ্ধারসহ সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে দিঘলিয়া গ্রামের কালীবাড়ি মন্দির সংলগ্ন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ শিরীন ময়নার বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র বাড়ির কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে অবাধে পালিয়ে যায়। চোরাইকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির এ ঘটনাটি এলাকা তখন ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকার মানুষ এ চুরির ঘটনায় শুধু অবাকই হয় নি হতবাক হয়েছে ঢের।
ঘটনার একদিন পর মমতাজ শিরীন ময়নার স্বামী দিঘলিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আল মামুন বাদি হয়ে দিঘলিয়া থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ২৭ দিন অতিবাহিত হলেও দিঘলিয়া থানা পুলিশ ৬ জনকে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করে। এর মধ্যে থানায় একজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হলেও বাকী টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল অদ্যাবধি উদ্ধার হয়নি।

এ দিকে ঘটনার ৩৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও চোরাইকৃত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন মামলার বাদী ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আল মামুন ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ শিরীন ময়না। এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকারের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, দিঘলিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মমতাজ শিরিন ময়নার বাড়িতে চুরির সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার ও চোরাই সকল মালামাল উদ্ধার করা হবে। এলাকার বিজ্ঞমহলের অভিমত এ চুরির সাথে পর্দার আড়ালে একটা প্রভাবশালীমহল জড়িত থাকতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থার সদস্যরা এগিয়ে এলে স্বল্প সময়ের মধ্যে চোরাই মালামালসহ সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top