কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের জল্লী গ্রামে গৃহবধু নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং । এই মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং । গৃহবধুর পক্ষে মহল্লায় দরবার সালিশিও ডাকা হয় । দরবারে সিদ্ধান্ত হয়, ঐ গৃবধুকে যেনো খুব দ্রুত খুঁজে বের করে দেয়া হয় । এখনো কোন রকমের খোঁজ মিলে নি । অথচ এ ঘটনার প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হতে চলেছে । সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, মোসাঃ দিলুয়ারা আক্তারের মেয়ে মোসাঃ দ্বীপা আক্তার(২০) গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রঃ সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা হতে ৭ : ৩০ ঘটিকার সময়ের মধ্যে উপজেলার দলপা ইউনিয়নের জল্লী এলাকা হতে নিখোঁজ । সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি । মোসাঃ দ্বীপা আক্তারের মা মোসাঃ দিলুয়ারা আক্তার বলেন, আমার মেয়ে তার শ্বশুর বাড়ি
থেকে নিখোঁজ হয়েছে । জানি না সে কোথায় আছে । আমি আইনের কাছে জোর দাবি জানাই, আমার মেয়েকে উদ্ধার করে দিন । দ্বীপার চাচা মোস্তো মিয়া ভাস্তির নিখোঁজের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন । আমরা দ্বীপাকে আশরাফুলের সাথে বিয়ে দিতে চাই নি । কিন্তু আশরাফুল আমার ভাস্তিকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে । বিয়ের প্রায় ১৬ মাস পর এ ঘটনা ঘটে । তিনি আরো বলেন, আমার ভাস্তির বিপক্ষে কোন রকম অভিযোগ ছিলো না । কিন্তু হঠাৎ কেনো নিখোঁজ? নিশ্চয়ই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এর জন্যে দায়ী । সরেজমিনে দ্বীপার শ্বশুর বাড়ি গেলে, দ্বীপার স্বামী আশরাফুলকে পাওয়া যায় নি । কথা হয় তার মা মোসাঃ হেনা আক্তারের সাথে । তিনি জানান, আমার পুতের বউ কোথায় আছে জানি না । আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করছি । কোথাও পাচ্ছি না । থানায় একটি জিডিও করেছি ।
মোঃ দবির মিয়া, জল্লী গ্রামের বাসিন্দা ও একজন সালিশি ব্যক্তি, তিনি জানান, আমরা দশজনে দ্বীপার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে বিশেষ করে তার স্বামী আশরাফুলকে চাপ প্রয়োগ করেছি যেনো নিখোঁজ দ্বীপাকে খোঁজে এনে দেয় । দলপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান,এমপি সাহেবের প্রোগ্রামে আছি,এ বিষয়ে পরে কথা বলব। এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক বলেন, এসআাই তাপস বণিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং তদন্ত অব্যহত রয়েছে ।