শচীন্দ্র নাথ মন্ডল দাকোপ খুলনাঃ খুলনার দাকোপে গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানাজায়, দাকোপ উপজেলা বিভিন্ন বাজারগুলোতে বিশেষ করে কাপড় সহ মুদিদোকানীরা কোনো বেচাকেনা করতে পারছে না বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের আভিযোগ। অন্য দিকে, ইচ্ছে মাফিক মুল্যে সব্জী বিক্রি করছে সবজি বিক্রেতারা। সরকারের বেঁধে দেয়া আলু, পেঁয়াজ এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাজার গুলোতে আলু ৩৬ টাকার স্থানে ৪৫ টাকা, পেঁয়াজ ৮০/৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারের তদারকি অফিসার বা কমিটির কোন নজরদারি নাই।
কাঁচাঝাল প্রতি কেজি ২০০ টাকা, ওল ৮৫ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা,পটল ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, আদা ৬শ টাকা, শুকনাঝাল ৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভাত জুটলেও তরকারি জোটানো কঠিন। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে ভ্যানচালক, শ্রমজীবী মানুষের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। বাজার মনিটরিং করার কোন খবর নাই। ইচ্ছে খুশি মতো চলছে বাজারগুলো। কথা হয় দিনমজুর গাজী সরদার(৭০) ও তাঁর স্ত্রী সকিনা বেগম( ৬০) এর সাথে তাঁরা জানান আমরা প্রতিদিন অন্যের ইটগোলায় ও বাড়ীতে ইট ভেঙে প্রতিদিন যে টাকা পাই তাই দিয়ে আমাদের কোন রকমে সংসার চলে। আমাদের কোন ছেলে সন্তান নেই। দুটি মেয়ে তাঁদেরকে বিয়ে দিয়েছি। জমি জমা কিছুই নেই। কাজ না করলে তাঁদের সংসার চলে না।তিন দিন টানা বৃষ্টির কারনে কোন কাজ করতে পারছিনা।বাজারে গিয়ে ছিলাম সবজী কিনতে তবে সবজির যে দাম তাহা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তবে সরকারের দেয়া চাউল আছে
ঘরে তাহা কোনমতে পানি ভাত করে চালছে আমাদের।এ দিকে মুদিদোকান দার ফারুক মালঙ্গি ও চা বিক্রেতা শংকর মন্ডল বলেন তিন দিন টানা ভারী বৃষ্টিতে কোন লোকজন বেরুতে না পার কারনে দোকানে কোন খোদের না আসার কারণে কোন কনা বেঁচা নেই। খুব কষ্ঠে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাদের।দাকোপউপজেলা চালনা বাজার ব্যবসায়িক কমিটির সভাপতি গৌতম সাহা বলেন, বৃষ্টির কারনে কোন কাপড় চোপড় বিক্রি হচ্ছে না শুধু মাত্র দোকান খুলে বসেই আছি। এছাড়াও কাচামালের দাম আনেক বেশী সরকারের বাজার মনিটরিং এর দায়িত্বে যারা আছেন তাদের কোন নড়াচড়া না থাকার কারণে বাজার গুলোতে ইচ্ছে মাফিক বিক্রি করছে। এ গুলো নিয়ন্ত্রণে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।