গাইবান্ধার মাসুদ মেম্বারের প্রতারনার শিকার স্ত্রী গোপালঞ্জের তাহমিনা আক্তার

তপু শেখ গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের মানিহার গ্রামের সিরাল ওরফে সিরাজ, শেখের মেয়ে তাহমিনা আক্তার ওরফে রিনা খাতুন মোবাইলে সম্পর্ক করে বিবাহ হয় গাইবান্ধা সদর এলাকার কামারজানী ইউনিয়নের খাড়জানী গ্রামের মজিবর রহমান মুন্সীর ছেলে মাসুদ রানার (চলমান মেম্বার)।২০১৭ সালে তাদের মাঝে বিবাহ সম্পর্ন হওয়ার পরথেকে প্রতিনিয়ত প্রতারনার শিকার হচ্ছে তাহমিনা।
তাহমিনা আক্তার বাড়ি থেকে বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করে এই ঠকবাজ মাসুদ রানাকে বিবাহ করে। তাদের ফাতিমা বিনতে মাসুদ নামের চার বছরের একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তান আছে। ব্যবসা-বানিজ্য ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হবার কথা বলে তাহমিনার ফুপু ফজিলা বেগমের কা্ছ থেকে প্রতারনা করে ছয় লক্ষটাক টাকা হতিয়ে

নিয়েছে এই মাসুদ রানা।তাহমিনার ফুপুর নিকট হতে যে টাকাটা নিয়েছে তার প্রমান স্বরূপ রন্জু সরকার নামক এক ব্যক্তির চেক দেয় মাসুদ। চেকের ক্ষেত্রেও প্রতারনা করেছে এই সুচতুর মাসুদ।তবে তার দেওয়া স্টাম্পটি জালিয়াতী করতে পারেননাই সে। তাহমিনার কাছে মজুদ আছে ওই স্টাম্প। তাহমিনার সকল সহায় সম্বল, নানা আপবাদ, শারিরিক ও মানুষিক অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তহমিনার ও তার মেয়ে সন্তানকে।
এ ব্যপারে তাহমিনা খাতুন রিনা গনমাধ্যমকর্মীদে কাছে বলেন, মাসুদ রানার ডাকে সকল মায়া ত্যাগ করে বাবা মাকে ছেড়ে ওর কাছে চলে গিয়েছিলাম। ও আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে।

আমিার বাবা মায়ের সাথে সম্পর্ক না থাকার কারনে ও আমার সাথে অনেক দূব্যবহার করেছে। আমার মেয়ের জন্ম নেবার পর থেকে সে আরো বেশি করে অত্যাচার করতো। অবশেষে তারই কাছের এক ছোট ভাইয়ের সাথে জড়িয়ে আমার নামে কলঙ্ক দিয়ে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। আজ আমি আমার মেয়েকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। আমি আমার দাবি আদায়ের ও আমার ফুপুর নিকট থেকে যে টাকাটা আমার স্বামী নিয়েছিল তানিয়ে দুটি মামলা দোয়ের করেছি তাতেও কোন সুফল পাচ্ছিনা। এ ব্যপারে আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা গরিবের বন্ধু জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করছি, যাতে এ ব্যপারে সুবিচার পাই। আমি ও আমার সন্তান আজো মাসুদের অপেক্ষায় আছি। আমি আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top