খুলনায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত

সাগর কুমার বাড়ৈই জেলা প্রতিনিধি খুলনাঃ ‘জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সকালে খুলনায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন অফিস ও জেনারেল হাসপাতাল যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর আগে হাসপাতাল চত্বর থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ কাজী আবু রাশেদের সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায় জলাতঙ্ক বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ এস এম মুরাদ হোসেন। এসময় সিনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক্স) ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাজমুল কবির, কনসালট্যান্ট(গাইনী) ডাঃ সামিয়া নার্গিস,  সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুল গনি প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, জলাতঙ্ক একটি প্রাণিবাহিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত প্রাণি বিশেষ করে শেয়াল, কুকুর, বাদুড় ইত্যাদির কামড়ে মানুষের মাঝে জলাতঙ্ক রোগ সংক্রমিত হয়।

যথাসময়ে চিকিৎসা দেওয়া না হলে জলাতঙ্ক প্রাণঘাতী হতে পারে। তাঁরা আরও বলেন, কুকুর বা অন্য কোন প্রাণি কামড় বা আচঁড় দিলে সাথে সাথে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট কাপড়কাঁচা সাবান দিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে ক্ষতস্থান ৭০ শতাংশ জীবানুমুক্ত রাখা সম্ভব। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে জলাতঙ্ক শতভাগ নিরাময় করা সম্ভব। জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সরকার জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ভ্যাকসিন বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, জলাতঙ্ক মূলত কুকুরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় তিন থেকে চার লাখ মানুষ এসকল প্রাণির কামড় বা আচঁড়ের শিকার হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top