পাটকেলঘাটায় সন্তানকে মাইর থেকে বাঁচাতে গিয়ে পিতার মৃত

শাহিন বিশ্বাস সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটাঃ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় কলেজ শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে পিতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাটকেলঘাটার ধানদিয়া কাটাখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সাগর ফারুক হোসেন। তিনি ধানদিয়ার বেগম খালেদা জিয়া কলেজের এইসএসসি পরীক্ষার্থী সাগর হোসেন বাদশার বাবা ও পাটকেলঘাটা থানার কাটাখালি গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে। নিহতের প্রতিবেশি ময়নুল আমিন মিঠু জানান, বেলা ১২টার দিকে ফারুকের ছেলে বাদশা এইচ এস সি (ব্যবহারিক) পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল পরিক্ষা কেন্দ্রে । পথিমধ্যে অশোক মোড় এলাকায় আসলে তার সহপাঠি নয়ন ও লাকির সাথে

বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।এতে নয়ন ও লাকি বাদশাকে বেধরক মারপিট করে। পরে বাদশা কাদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার বাবাকে খুলে বলে। পরে বাবা ফারুক হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে মারপিটে কারন জানতে চাইলে নয়ন ও লাকি তার মামাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে তারা তিন জন মিলে বাশের লাঠি দিয়ে ফারুক হোসেনকে মারপিট করতে থাকে এতে মারাত্বক আহত হয়। ওই সময় স্থানীয়রা ছুটে আসলে সটকে পড়ে দূর্বিত্তরা। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানান,ফারুক হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন বাদশা বেগম খালেদা জিয়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়ে বাদশা তার অপর দুই বন্ধু নয়ন হোসেন ও লাকী হোসেনের

সাথে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে কাটাখালি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় (ঘটনাটি জানা যায়নি) বাদশা ও তার অপর দুই বন্ধুর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হাতাহাতিতে রুপ নেয়। বিষয়টি ফারুক হোসেনের কানে পৌছালে তিনি নয়ন ও লাকীকে বকাঝকা দেন। অপমানের প্রতিশোধ নিতে নয়ন তার মামা কৃষ্ণনগর গ্রামের রুবেল হোসেনকে ফোন দেয়। রুবেল কয়েকজন সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে লাঠি দিয়ে ফারুক হোসেনকে বেধড়ক পেটায়। এতে ফারুক হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি ত্রিশমাইল এলাকায় মারা যান। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, ফারুক হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top