ডুমুরিয়ায় ডাকাতির ঘটনার দুই দিনের মাথায় ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার

সরদার বাদশা নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনার ডুমুরিয়ায় ডাকাতির ঘটনার দুই দিনের মাথায় ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডুমুরিয়া থানা পুলিশসহ খুলনা জেলা পুলিশের ৪টি চৌকস টিম খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখ কনি মিয়া। আটককৃতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি কাটার, ১টি লোহার শাবল, ২টি লোহার রড ও ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে স্বর্নালঙ্কার বিক্রির ২৭ হাজার ৮শ’ টাকা, ১টি সোনার আংটি ও ৫টি বালা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে একদল ডাকাত জোরপূর্বক ডুমুরিয়া থানাধীন বরাতিয়া গ্রামের

আবুল হোসেন সরদারের ছেলে রায়হান সরদার ও সিরাজুল মোললার বাড়িতে ঢুকে পুরুষ সদস্যকে অস্ত্রের মুখে হাত পা বেঁধে ফেলে। এরপর ডাকাতরা নগদ টাকা, ৪ ভরি ১০ দশ আনা স্বর্নালঙ্কার ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় রায়হান সরদার বাদী হয়ে রবিবার ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করেন, যার নং-২৬। মামলার সূত্রে ডুমুরিয়া থানাসহ খুলনা জেলা পুলিশের ৪টি চৌকস টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভিযান পরিচালনাকালে রবিবার বিকেল ৪টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস এলাকা থেকে মাজেদুল সরদার (৩৪) নামে একজনকে আটক করে, তার বাড়ি যশোর জেলায় বলে জানা যায়।

এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওইদিন রাতে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালি গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলাম শেখ (৪২), সাতক্ষীরা সদরের সাইদুল গাজী (২২), মোসলেম শেখ (৬০), আলমগীর মীর (২৫), সিদ্দিক শেখ (৩৫) এবং খুলনা মহানগরীর গল­ামারী এলাকা থেকে সাইদুল গাজীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২০)-কে আটক করা হয়। উলে­খ্য, ডাকাতি ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশের তৎপরতা বাড়ে। আর ধরা পড়ে একে একে ৭ সদস্য। তবে শুরুতে ডুমুরিয়া পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া সংবাদ সংগ্রহে চেষ্ট করলে পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধির সাথে রুঢ় ব্যবহার করেন থানার শীর্ষ কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top