নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালঃ বরিশাল নগরীরর ৫নং ওয়ার্ড মোহাম্মদপুর ঘেরের পার এলাকায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকনিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা এস আই ওবায়দুল্লাহ খান ও সিপাহী সবুর মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। সুত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর ঘেরেরপার এলাকায় সোহাগ ওরোফে বাউয়া সোহাগ, জনি, রাকিব,রাজু, দেলু, সোহেল, রাসেল, মোঃ রাজুসহ চিহ্নিত বেশ কয়েকজন মাদকব্যাবসায়ী রয়েছে, এদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার একাধিক মামলা চলমানাধীন। এরই সূত্র
ধরে মাদকদ্রব্যনিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের দুই সদস্য সকালে ঘেরেরপার এলাকায় গেলে, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মাদকনিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যদের ফাসানোর জন্য সকল মাদকব্যাবসায়ীদের যোগসাজশে তাদেরকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা তৈরি করে, সেই মোতাবেক মাদকনিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পৌছানো মাত্রই মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে থাকা মাদক দিয়ে তাদেরকে মাদকবিক্রেতা বলে ঘিরে ধরে ও মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় এবং তাদেরকে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করে। মুঠোফোনের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে, ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায় মাদক ব্যাবসায়ীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের কাছে থাকা ব্যাগের মধ্যে মাদক গছিয়ে দেয়ার বার বার চেষ্টা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নিরীহ বাসিন্দা বলেন, মাদকব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রায় সময়ই অভিযান চালিয়ে প্রশাসন মাদক উদ্ধার করে এবং মাদক মামলা দিয়ে থাকে, এতে মাদক ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করতে পারে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে মাদক দিয়ে তাদেরকেই ফাসানো ফন্দি আঁটে মাদক ব্যবসায়ীরা।
এব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুন্ড সাংবাদিকদের বলেন মাদক উদ্ধার অভিযানের উদ্দেশ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের সদস্যরা সকালের দিকে মোহাম্মদপুর এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা মাদকব্যাবসায়ীদের সাথে একটি বিছিন্ন ঘটনায় জড়িয়ে পরেছে বলে শুনেছি। আমাদের সদস্যরা যদি প্রকৃতপক্ষে কোন প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকে তাহলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।