শচীন্দ্র নাথ মন্ডল দাকোপ খুলনাঃ খুলনার দাকোপ উপজেলায় আইলা কবলিত সুতারখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ পানি সরবরাহের সরকারী খাস খাল গুলো ভরাট ও বাঁধ দিয়ে আটকে রাখার ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি কৃষকরা পড়েছে বিপাকে।আইলার পর এঅবস্হার সৃষ্টি হলেও গত ১৫ বছরেও এর সমাধান না হওয়ায় ফসল উৎপাদন দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা গেছে,দাকোপের আইলা কলবিত সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগী ৮নং গেট ও ৯নং গেট খাল চামনমন্দির ,অনুযারখাল,কাটাখালী,বাঁশখালী,,গুনারী,নলিয়ান খাল গুলো বাঁধ ও খনন না করার পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।এলাকর অধিকাংশ কৃষক জানান,আইলার পর খাল গুলো ভরাট হয়ে গেছে।কিছু খাল বাঁধ দিয়ে রাখায় পানি সরবরাহের পথ সম্পূর্নরুপে বন্ধ হয়ে যায়।অনেক খালে পানি ভরা থাকে।কিন্তু সে গুলো শ্রেনি পরিবর্তন করে এস্হানীয় ভূমি অফিসের সাথে যোগসাজসে বন্ধোবস্ত দেয়া হয়েছে।এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করার পরও কোন ফল হয়নি বলে জানাযায়।এ ব্যাপারে কালাবগীর কৃষক আব্দুল মান্নান গাজী জানান,বাঁশতলি খাল মুক্ত করার জন্য আমি
অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।তিনি আরও জানান,খাস খাল গুলো চিহ্নিত করে খনন করার পাশাপাশি বাঁধ অপসারন পূর্বক সুষ্টু পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার।আইলার পর খাল গুলো ভরাট বাঁধ দিয়ে রাখায় এ দুরঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।তিনি বলেন স্হানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েও কোন সুরাহ হয়নি।বাঁশখালী,কাটাখালী,কোদাল হারানি,চামনমন্দির,অনুয়ার গেট কাল গুলো খনন এবং খুলে দিলে এ এলাকায় ধান উৎপান বৃদ্ধি পাবে।ঘুচে যাবে কৃষকদের দীর্ঘদিনের পানি সরবরাহের সমস্যা।কিন্তু তার কোন প্রতিকার দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানান তাঁরা ।নলিয়ানের মফিজ সানা জানান,৮ও ৯নং গেটখার চমনমন্দির,অনুয়ারসহ উল্লেখিত খাল গুলোর বাঁদ অপসারন ও খননের মাধ্যমে পানি নিস্কাশনের সুষ্টু ব্যবস্থাপনা করে দিলে কৃষকদের ধান উৎপাদ, জলাবদ্ধতার নিরাসন হবে। তিনি আরও জানান,১বছর পূর্বে গেট খালটি খননের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,সহকারী কমিশনার(ভূমি)কাছে লিখিত আবেদন করেও কোন ফল পায়নি।দীর্ঘদিন ধরে সুতারখালী ইউনিযনের খাল গুলো বাঁধ ও অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলপূর্বক কৃষকদের ধান উৎপাদনের পথ সুগম,১নং খাস খতিয়ানভূক্ত খাল চিহ্নিত করে খননের দাবি জনিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা আঃ সবুর সরদার,বিল্লাল মোড়ল,রেজাউল গাজী,আবুল কালাম গাজী,কালাম সানাসহ একাধীক এলাকাবাসী বিষযটির দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।তাদের দাবি,অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বাড়ী থেকে বের হবা যায়না।অনেকেই পানি নিস্কাশনের আংশিক পখ থাকলেও এ সকল পানি সরবরাহ পথে বাথরুম নির্মাণ ও বাঁধ দিয়ে রাখায় এ ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।তারা জানান,আগে বিঘা প্রতি তারা ধান পেত ১৫/১৮ মন এখন সেখানে তারা বিঘাপ্রতি আইলার পর ৫/৬মন ধানের বেশী পাচ্ছেনা।গত বছর কালাবগী মডেল বাজারের বড় একটা অংশ ও দক্ষিণ কালাবগী,দক্ষিণ নলিয়ানের কযেক হাজার জমিতে কোন ধান উৎপাদন হয়নি।এতে ওই এলাকায় সাধারন কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।কালাবগী গ্রামের কৃষক রেজাউল গাজী জানান,বীজ,রোপন,সার, বিষ সহ ১বিঘা ধান উৎপাদন পর্যন্ত খরচ হয় ৪থেকে ৫হাজার টাকা।কিন্তু পানি নিস্কাশনের
অভাবে গত কয়েক বছর ধরে সব গচ্চা যাচ্ছে।তিনি জানান,খাস খাল গুলো চিহ্নিত করে খননের আওতায় আনা হোক।উল্লেখিত খাল গুলো খনন করা হলে কৃষকরা খুজে পাবে নতুন জীবন।ধান উৎপাদ বৃদ্ধি পাবে।এলাকার জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে স্থানীয় বাসিন্দারা।সুতারখালীসহ কৈলাশ গঞ্জ, বানিশান্তা, বাজুয়া, পানখালী, তিলডাংগা, আশপাশ ইউনিয়নেও চলছে একই অবস্থা।দ্রুত পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্টমহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তিভোগীরা। এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান এর সাথে কথা হলে তিনি বললেন খাস খাল গুলো ভরাট ও বাঁধের কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমার কাছে অনেকে বিষয় টি বলেছে। এ সকল খাল চিহ্নিত করে খননের ব্যবস্হা করতে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আগামী উপজেলা উন্নয়ন সভায় আলোচনা করে শুকনা মৌসুমে খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।