জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের নির্দেশ অমান্য করে চলছে ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্য্যক্রম

খন্দকার সাইফুল ইসলাম নড়াইলঃ নড়াইলে ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালকে লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গত সোমবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান। ওইদিন ১৮ সেপ্টেম্বর সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন স্বাক্ষরিত লিখিত অফিস আদেশ দেওয়া হয় লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল বন্ধ রাখার। কিন্তু সেই আদেশ অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্য্যক্রম।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পরিচালক/ব্যবস্থাপক আপনাকে জানানো যাইতেছে

যে,১৮.০৯.২০২৩ ইং তারিখ পরিদর্শন টিম কর্তৃক আপনার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে আপনি লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করিতেছেন। যা দি মেডিকেল প্রাকটিস এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যন্স ১৯৮২ এর পরিপন্থি। এমত অবস্থায় লাইসেন্স না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্য্যক্রম বন্ধ রাখিয়া বর্তমানে ভর্তি রোগিদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য বিশেষ ভাবে বলা হইলো। লাইসেনন্স না পাইয়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করিলে আপনার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হইবে এবং এ বিষয়ে কোন প্রকার জটিলতার সৃৃষ্টি হইলে উহার সকল দায় আপনাকে বহন করিতে হইবে। বিষয়টি অতিব জরুরী। নড়াইল জেলার কয়েকজন প্রাইভেট ক্লিনিক মালিক না প্রকাশে অনেচ্ছুক জানান,নড়াইল সদর হাসাপাতালের সার্জারির ডাঃ দিপংকর অন্যায়ভাবে ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালে অন্যায়ভাবে নিয়মিত ভাবে অর্থোপেডিকস

অপারেশন করে চলেছেন। আরো জানান ডাঃ দিপংকর,ডাঃ অলোক বাগচী,ডাঃ সুব্রত বাকচী, নড়াইল সরকারী সদর হাসপাতালে চাকুরী করে অন্যায়ভাবে উক্ত ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালের পার্টনার রয়েছেন অন্য নামে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক মন্ডলীর সদস্য ডাঃ দিপ বিশ্বাস বলেন, আমরা লাইসেন্স পেয়ে যাব দ্রুত। ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতাল যাতে বন্ধ না রাখা লাগে আমরা সে বিষয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছি। সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন জানান, ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালকে লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যদি হাসাপাতালের কার্য্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, সিভিল সার্জন ও সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরেও যদি ভিক্টোরিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্য্যক্রম চালানো হয়। তাহলে আরেকবার যাবে সত্যতা পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top