বাকেরগঞ্জে এস আই মাহমুদ হাসানের ঘুষ বানিজ্যর বলি সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাকেরগঞ্জ থানার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে দিনদিন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতিতে রুপ নিয়েছে। প্রতিদিনই কোথায় ও না কোথায়ও চুরি ডাকাতি হামলা মামলার ঘটনায় অতিষ্ঠ অত্র ইউনিয়নের সচেতন মহলের অভিযোগ এখানে দায়িত্বে থাকা এস আই মাহমুদ হাসান আসার পর থেকেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার চোর ডাকাত ভূমিদস্যুদের সাথে আতআত করে বানিজ্য করার কারনেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে তাদের অভিমত। ওর এসব অপকর্মের প্রতিবাদ জানালে নানা হয়রানির ও হামলা মামলার ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। যে কারণে ইদানীং ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। তেমনি একটা ঘটনার বিষয় প্রতিবাদ জানালে ওর রোষানলে পরে পরিকল্পিত মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম মনির। এ বিষয় তিনি বলেন বড়িয়া শিকদার বাড়ির সুমি নামের এক কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে একই বাড়ির কাওসার নামে এক বখাটে মারধর করে এই ঘটনায় সুমি বাদি হয়ে কাওছারের নামে লিখিত

অভিযোগ করে। এতে পুলিশ বাড়িতে গিয়ে কাওছার নামের বখাটে ছেলেটিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পথে মোটা অংকের লেনদেন করে ছেড়ে দেয়। এতে পূনরায় কাওছার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় এ বিষয়টা পরবর্তীতে মেয়েটি সাংবাদিক জাহিদুলকে জানালে সে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করে দায়িত্বরত এস আই মাহমুদ হাসানকে গ্রেফতারকৃত আসামি কাওছার কে থানায় না এনে মাঝ পথে ছেড়ে দেওয়ার কারন জানতে চায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তার ব্যাক্তিগত ব্যপারে নাক গলাতে আসলে দেখে নেবার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বিদ্বেষমূলক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মানষে সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের বাড়ির জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় চাচাতো ভাই বোনদের সাথে একটা বিবাদ উস্কে দিয়ে মোটা অংকের চুক্তিতে জমি দখল করে বাউন্ডারি করতে সহায়তা করে। অথচ উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয় বিগত ডিসেম্বর মাসে জাহিদুল ইসলামের বাবা আবদুর রব আকন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন যার রেজিস্ট্রার নং ১৫৩৯ তাং ১৮/১২/২০২২ইং যা অভিযোগ পরবর্তী তৎকালীন দায়িত্বরত থানার অফিসার ইনচার্জ আলাউদ্দিন মিলন উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। সে বদলি জনিত বিদায়ের পরেই আবারও নতুন করে কাজ শুরু করলে ৯৯৯ তে কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতার

কামনা করলে উক্ত এস আই মাহমুদ হাসান ৪/৫ ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে, সংবাদাতা জহিদুল ইসলামের পরিবারের কাছে এসে উল্টো ৯৯৯ তে কল দেবার কারনে গালিগালাজ করে বলেন থানা থাকতে ৯৯৯ তে কেনো কল দিয়ে বিরক্ত করেন। এরপর ঘটনা বিস্তারিত জেনে বলে এ বিষয় আমাদের কিছু করনীয় নেই, তারা কাজ করে করুক আপনার দরকার হলে কোর্টে যান। অযথা কাজে বাঁধা দিলে আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে। এ কথা বলে কাজ বন্ধ না করে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্য করে ওদের হয়ে কন্টাক্টে কাজ করে দেয়। এ বিষয় একাধিক বার থানায় অভিযোগ করলেও অজ্ঞাত কারণে আমলে না নিয়ে বরংশ কাজ চালিয়ে যেতে সহায়তা করে। অবশেষে বিষয় টি নিয়ে বিরোধিতা সৃষ্টি হলে। জাহিদুলের বাবা পুনরায় বিগত ২/২/২০২৩ তাং আদালতে উপস্থিত হয়ে ১৪৪/১৪৫ ধারায় অভিযোগ করেন। এতে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ পেয়ে। ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ মিথ্যা চাঁদাবাজি সহ নানাবিধ অভিযোগ করেন।

যার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল না থাকায় আদালত আগাম জামিন দেন। পুনরায় তারা নানান সরযন্ত করে নিজেদের স্থাপনা নিজেরা ভাংচুর করে সাজানো মামলা করেন একই সাথে জামিনের বিরোধিতা করে আবেদন করে। কিন্তু তাও আদালত জামিন বহাল রেখে স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। অথচ পরিকল্পিত সাজানো ঘটনা জেনেও এস আই মাহমুদ হাসান প্রতিপক্ষের সাথে মোটা অংকের লেনদেন চুক্তির বিনিময়ে সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের নামে মিথ্যা মামলার চার্জশীট দাখিল করছে। শুধু তাই নয় পুনরায় মিথ্যা অভিযোগ করে আদালতে জামিনের বিরোধিতা করে মাললা করলে সে মামলার তথ্য গোপন করে খোদ দায়িত্বরত

ওসিকে না জানিয়ে কোর্টে রিপোর্ট পাঠিয়ে সাংবাদিক জাহিদুল কে হয়রানির মধ্যে ফেলে দেন। এ বিষয় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে জানাজানি হলে তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন সরকার যখন সাংবাদিকদের জান মাল নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছেন, সে মূহুর্তে একজন পেশাদার সিনিয়র সাংবাদিককের বিপক্ষে পুলিশ সদস্যর বিরূপ আচারন সত্যিই দুঃখ জনক, তারা এমন প্রচেষ্টার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা তুলে নিতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top