যুদ্ধ চলাকালীন সময় কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত বাড়ি সংরক্ষণের দাবী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পরিষদের

নয়ন দাস,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবশ ধরলা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মতিয়ার মেম্বারের বাড়ী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পরিষদ, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী মতিয়ার মেম্বারের বাড়ীটি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরুপ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ফলক নির্মাণসহ ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতির দাবী জানিয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে উত্তর নওয়াবশ এলাকায় ধরলা নদীর তীর সংলগ্ন চারিদিকে পরিখা, নালা, খাল-বিল, পুকুর, গাছপালা ও জঙ্গল থাকায় এবং শত্রæবাহিনীর আক্রমণ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নিরাপদ রাখতে মতিয়ার মেম্বারের বাড়ীকে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে। এই বাড়ী থেকেই নির্ধারিত হতো মুক্তিযোদ্ধারা রাতে কোথায় অপারেশন চালাবে। এই ক্যাম্পের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।

মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্তানী হায়নারা এবং আলবদর রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পরাজিত হয়। প্রায় ২৪ বিঘা জমির উপর মতিয়ার মেম্বারের বাড়ী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ক্যাম্পে তৎকালীন সময়ে প্রশিক্ষিত আনসার, ইপিআর, মোজাহিদ, পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে গ্রামের দামাল ছেলেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিরক্ষার যুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ে অংশ নেয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত মতিয়ার মেম্বারের বাড়ী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনা নির্মাণ ও সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা (যুদ্ধকালীন কমান্ডার) সিরাজুল ইসলাম টুকু, উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা (কোম্পানী কমান্ডার) আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতিক, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা (কোম্পানী কমান্ডার) যোগেশ চন্দ্র সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হারুন-অর-রশিদ লাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম,

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাশেম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন সর্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী খান, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক নুর হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজিমুদ্দি, কার্যকরী সদস্য জোবেদ আলী, বেলমতি দাস ও মোছাঃ আতরনী বিবি প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top