মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জঃ
কুলিয়ারচরে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবকে গনধুলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের লোকমানখার কান্দি গ্রামে এঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুর দিনমজুর পিতা (৩৫) অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি আবার একটি বিবাহ করার পর তার শিশু কন্যা ও পুত্র মা হারা হয়ে যায়। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মা হারা শিশুটি প্রতিদিনের ন্যায় পার্শ্ববর্তী বাংলালিংক টাওয়ারের নিকট খেলা করছিলো। এসময় পার্শ্ববর্তী সেমাইকান্দি গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে হেলেনা আক্তারের স্বামী জসিম মিয়া (৪০) ওই শিশুটিকে মজা খাওয়ার জন্য ১০ টাকা দিয়ে তাকে ডেকে বাংলালিংক টাওয়ারের ছাদে নিয়ে যায়। পরে ওখানে নিয়ে ফুসলিয়ে তার পড়নের কাপড় চোপর খুলে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে ওই শিশুর বড় ভাই (১০) উপরে গিয়ে
ছোট বোনকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে লম্পট জসিম শিশুটির বড় ভাইকে মজা খাওয়ার জন্য ২০টাকা দিয়ে বলে এ বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য। ভাই তার ছোট বোনকে নিয়ে বাড়ি এসে পরিবারের নিকট এসব ঘটনা খুলে বলে। এঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে শিশুর পিতাসহ এলাকাবাসী লম্পট জসিমকে বহু খুঁজা খুঁজির পর ধরে এনে কিছু উত্তম মাধ্যম দিয়ে বিকালে কুলিয়ারচর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। শিশুটির পিতা আরো বলেন, ইতোপূর্বেও তার শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে আরো দুইবার ধর্ষণ করেছে বলে শিশুটি তাদের জানিয়েছেন। এসব কথা কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে বুঝিয়ে বলেছে লম্পট জসিম। শিশুটি ভয়ে এসব কথা আগে কাউকে বলেনি বলে জানায় শিশুটি।
জসিম ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরের নূরুল হক ওরুফে কিরন চৌধুরীর ছেলে।
এব্যাপারে লম্পট জসিমের স্ত্রী হেলেনা আক্তার বলেন, সকাল ১০টার দিকে তার স্বামী মাছ ধরার জন্য বলার চাক ভাঙতে ঘর থেকে একটি দা নিয়ে বাংলালিংক টাওয়ারের ছাদে উঠে। এসময় পেছন থেকে ওই শিশুটিও ছাদে উঠে। কিন্তু ও খানে এমন ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে নীচে নেমে শিশুর বড় ভাইয়ের হাতে ২০ টাকা দিয়েছিলো মজা খাওয়ার জন্য। ২০ টাকা দেওয়াই আজ কাল হয়ে দাড়িয়েছে তার স্বামীর জন্য। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় মামলার পক্রিয়া চলছিলো।