দিঘলিয়ায় দস্যুতার অপতৎপরতা বৃদ্ধি দুইদিনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মসজিদের ইমামের বাড়িতে চুরি

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনাঃ গত দুইদিনে দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মসজিদের ইমামের বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে।
মাত্র একদিনের ব্যবধানে দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া মোড়ল মার্কেট সংলগ্ন মসজিদের ইমাম মোঃ ইমদাদ উল্লাহ’র বাড়িতে চোর হানা দিয়েছে। তবে চুরির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গত শনিবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ শিরিন ময়নার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ও দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ দস্যুরা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে অবাধে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া মোড়ল মার্কেট সংলগ্ন মসজিদের ইমাম ইমদাদ উল্লাহ’র বাড়িতে গত রবিবার গভীর রাতে সংঘবদ্ধ দস্যুরা হানা দিয়ে জানালার গ্রিল কেটে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ সময় বাড়ির মালিকের স্ত্রী টের পেয়ে চিৎকার দিলে চোরেরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ইমাম ইমদাদ উল্লাহ

এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। উল্লেখ্য এর পূর্বে একই এলাকার শহীদ মোড়ল ও বংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীমুল ইসলামের ঘরের গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা নিয়ে অবাধে পালিয়ে যায়। দস্যুরা দ্বিতীয়বার শহীদ মোড়লের বাড়িতে চুরি করতে এসে ধরা পড়ে। ধৃত চোরের বাড়ি খুলনা নগরীর ফুলবাড়ি গেট বলে জানা যায়। উল্লেখ্য যে, দিঘলিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ শিরিন ময়নার বাড়িতে গত শনিবার গভীর রাতে সংঘবদ্ধ দস্যুদল বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরে রক্ষিত প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী বারাকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নেতা শেখ আল মামুন এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে এলাকায় ব্যাপক হারে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা এলাকার মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার মানুষের বর্তমানে কাটছে নির্ঘুম রজনী।এলাকায় একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এলাকার কেউ কেউ অভিমত ব্যক্ত করেছেন, এলাকায় একের পর এক দস্যুতা দৃষ্টে এটা এই এলাকার এক কুচক্রীমহলের চক্রান্ত হতে পারে। বহিরাগত অজানা ও অচেনা অপরাধীদের ভাড়া করে এনে পরিকল্পিতভাবে চুরির ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ধৃত ফুলবাড়ির চোরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করলে থলের বিড়াল বের হতে পারে। বেরিয়ে আসতে পারে পৃষ্ঠপোষক গডফাদারদের নাম এমনই অভিমত ব্যক্ত করেছেন এলাকার বিজ্ঞমহল। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার বলেন, ইতোমধ্যে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি অপরাধী চোর চক্রকে ধরতে পুলিশের পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top