পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগ সহ -সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক উদীয়মান তরুণ যুবনেতা মো: আবছার উদ্দিন ওয়াসিম একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর এক লেখায় বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নয়, সবার– এটা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। যারা তাকে মানতে চায়নি, তারা বাংলাদেশকেও মানতে পারেনি। তাদের সংখ্যা কিন্তু একেবারে কম নয়। একাত্তরের পরাজিত শক্তিই পঁচাত্তরে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে দেশকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা আবার ফিরেছি প্রগতির পথে। আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশ। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, আরও এগিয়ে যাব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের অগ্রযাত্রায় মূল শক্তি। এটাকে আমরা যত ছড়িয়ে দিতে পারব, ততই আমাদের বিভাজন কমবে। রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা‘ প্রতিষ্ঠাই ছিল তার স্বপ্ন। আমাদের দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা। তাহলেই আমরা চিরঞ্জীব এই মহান নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু কোনো ব্যক্তির নাম নয়, তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে হয়ে উঠেছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সুদীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন–সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির আত্মপরিচয়ের ঠিকানা ‘স্বাধীন–সার্বভৌম বাংলাদেশ’। হাজার বছরের পরাধীনতা, নিপীড়ন, নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে অনন্য বজ্রকণ্ঠস্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর প্রশস্ত বুকে ছিলো অসীম সাহস, ছিলো পাহাড়ের মতো দৃঢ় প্রত্যয়। শোষণ–বঞ্চনায় দ্বি–খণ্ডিত মানুষের ব্যথায় তার আহত হৃদয় নৈঃশব্দে কেবলই কেঁদে উঠতো। অন্যায় ও অপশাসনের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠস্বরও এমন ছিলো যে মৃত্যুভয়ও তাকে কুণ্ঠিত করতে পারেনি। জেল–জুলুম নিপীড়নের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী শেখ মুজিবকে দমাতে পারেনি। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সকল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্ব গুণের চূড়ান্ত ফসল আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বাংলাদেশ।
অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ‘নিউজ উইক’ ম্যাগাজিন ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে ‘পয়েট অব পলিটিঙ’ বলে অভিহিত করে। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বের কারণে ব্রিটেনের আরেক শীর্ষ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানে বলা হয় ‘শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। ফিনান্সিয়াল টাইমস লিখেছে, ‘মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিত না।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার খবর পাওয়ার পর পশ্চিম জার্মানি পত্রিকায় বলা হয়েছিল, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুইয়ের সঙ্গে তুলনা করা যায়। জনগণ তার কাছে এত জনপ্রিয় ছিল যে লুইয়ের মতো তিনি এ দাবি করতে পারেন যে, আমিই রাষ্ট্র। বিবিসি বলেছিল, ‘শেখ মুজিব নিহত হলেন তাঁর নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে অথচ তাঁকে হত্যা করতে পাকিস্তানিরাও সংকোচবোধ করেছে।
বিশ্বের বড় বড় নেতা এবং বিশ্ব মিডিয়া বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন করেছেন অসাধারণভাবে। তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে অনেক উচ্চ আসনে বসিয়েছেন পরম শ্রদ্ধায়–ভালোবাসায়। বিশ্বনেতাদের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক বিস্ময়; ঘোর লাগা এক ব্যক্তিত্ব। গত কয়েক দশকে দক্ষিণ এশিয়ায় অনেক নেতার আবির্ভাব হয়েছিলো। সবার থেকে শেখ মুজিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা হিসাবে স্বীকৃত। ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তি ও সাহসে এ মানুষটি হিমালয়ের সমতুল্য।