রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র সংগঠনের সমর্থনকারী কিছু মিডিয়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত গুজব প্রচার করে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার পায়তারা করছে। উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন সমর্থিত হিল ভয়েজ, সিএইচটি নিউজসহ কিছু স্বার্থান্বেষী ফেসবুক পেইজ কর্তৃক কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের মিতিংগাছড়ি আর্মি ক্যাম্পের ৬ জন সাদা পোশাকধারী সেনা সদস্য কর্তৃক একজন মারমা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে এই মর্মে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ ও গুজব সংবাদ প্রচার করে সাধারণ জনগণের মধ্যে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এলাকার অনেকেই জানান কাপ্তাই ৫৬ ইষ্ট বেঙ্গল যোগদানের পর থেকে বর্তমান জোন কমান্ডারের দিক নির্দেশনা দূর্গম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের
জীবন মান উন্নয়নে সেনাবাহিনী কাপ্তাই জোন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক সময় পাহাড়ে সেনাবাহিনী দেখলে মানুষের ভয় পেত। এখন সেনাবাহিনী পাহাড়ের সাধারণ জনগণের পরম বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়ে রাইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মংক্য মারমা’র সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকালে, যে মারমা মেয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরিবারটি স্থানীয় কারবারি নিয়ে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে এসে আমার নিকট জানান একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভাবমূর্তি বিনষ্ট এবং মারমা পরিবারটিকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা বানোয়াট গুজব সংবাদ প্রচার করছে। মারমা পরিবারটি স্থানীয় সকল সুশীল সমাজ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট অনুরোধ করেন, ঘটনাটির সরেজমিনে সত্যতা জেনে যারা মিথ্যা গুজব অপ-প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে
যেন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এই ব্যাপারে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম এর সাথে যোগাযোগ করা করা হলে তিনি বলেন রাইখালী ইউনিয়ন এলাকায় এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও গুজব প্রচার করছে। ওসি আরো বলেন রাইখালী ইউনিয়নে মিতিংগাছড়ি নামে সেনা ক্যাম্প নেই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মিতিয়াছড়ির কারবারী সাজাই ইউ মারমাসহ, স্থানীয় মারমা সম্প্রদায়ের নেতাগণ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব প্রচার করে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী স্বার্থান্বেষী আঞ্চলিক তথাকথিত কালো মিডিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন। মারমা সম্প্রদায়ের সদস্যরা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি সম্প্রতি বিণষ্ট করার জন্য আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি মহল এই ধরনের মিথ্যা গুজব প্রচার করে সাধারণ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরির হেন উদ্দেশ্য লিপ্ত রয়েছে বলে জানান।