হিলিতে পেঁয়াজে পচন ধরেছে

নুরুজ্জামান হোসেন হিলি দিনাজপুরঃ গত এক সপ্তাহ থেকে হিলি স্থল বন্দর এলাকায় ক্রেতা সংকট ও অতিরিক্ত গরমের কারণে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গুদামে পঁচতে শুরু করেছে।তাই বাধ্য হয়ে আমদানি খরচের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।ভারতের হুটহাট সিদ্ধান্তের কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।তাই লোকসানের শঙ্কায় বাহিরের পাইকারপত্র না আসায় এর মূলকারণ বলছেন ব্যবসায়ীরা। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুস সালাম জানান,সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যা দেখা দেয়ায় পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যহত হয়েছে।এতে সরবরাহ কমে গিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিরুৎসাহীত করতে ভারত সরকার গত ২২ আগস্ট থেকে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করে।

এতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ১০/১২ টাকা খরচ বেড়ে যায়। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তাই লোকসানের শঙ্কায় পাইকাররা আসা অনেকটাই কমে গেছে। ফলে অধিকাংশ পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় গুদামেই নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান,আগে যেখানে প্রতিদিন ৫/৬ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হতো এখন এক লাখ টাকার পেঁয়াজও বিক্রি হয় না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজ গুদামে নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকে পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে। এদিকে আজ শনিবার হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আবু তাহের ও রুবেল জানান,বাজারে ইন্দো জাতের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজ দাম বেশির কারণে হিলি বাজারে পাওয়া যায় না। হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে,গত সপ্তাহের ৬ কর্মদিবসে ১৮৫ টি ভারতীয় ট্রাকে ৫ হাজার ৫১০ মেট্রিকটন ইন্দোর,নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top