বাড়ছে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটারের ওপরে

নয়ন দাস,কুড়িগ্রামঃ ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলাসহ অন্যান্য নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন নদীর তীরবর্তী মানুষ। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রে নদের নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচে, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার নিচে, কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ,নয়ারহাট, সাহেবের আলগাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া আছে।

তিস্তার গড়াইপিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুর আলম বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। ধানক্ষেত নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। তিস্তার পানি বাড়লে নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তাপাড়ের মানুষের বারোমাসই কষ্ট, দেখার কেউ নেই।
খিতাবখাঁ গ্রামে সুরমান আলী বলেন, দিনরাতে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে আর তিস্তার পানি বাড়ছে। গরু-ছাগল নিয়ে ফের ভোগান্তি শুরু হলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টির কারণে উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এরই মধ্যে খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top