কুমারখালীতে চেয়ারম্যান’র ছত্রছায়ায় জামাত-শিবিরের দুর্গ : কোনঠাসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ 

 কামরুজ্জামান, কুষ্টিয়া ::::   টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও শান্তিতে নেই কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দল করলেও অনুপ্রবেশকারী-হাইব্রিড নেতাকর্মীদের ভিড়ে প্রকৃত নেতাকর্মীরাই এখন কোনঠাসা। কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নেতৃত্বে যদুবয়রা ৮ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জামাত-শিবিরের তান্ডবের দুর্গ গড়ে তুলেছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিএনপি-জামাত-শিবিরের ঘাতক দালালদের নিয়ে শোডাউন দেয়। এর আগে গত ৩ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রোগামে মিজানুর

 

রহমান মিজানের দুইপাশে যদুবয়রা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর এবং ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতিকে দেখা যায়। যার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হবে কুমারখালী উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ঝড় ওঠে। এদিকে কুমারখালি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৭৪টি মামলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দাঁড় করানো হয়েছে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। যার বেশির ভাগই মামলা জামাত-শিবিরের লোকজন দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকের উপর করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে যদুবয়রা ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শাহাজাহান আলী মোল্লা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছত্রছায়ায় মিজানুর রহমান মিজান নৌকা মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছে। আমরা

 

তৃণমূলের মানুষ যারা দীর্ঘদিন ধরে  আওয়ামী লীগ করি। মিজান চেয়ারম্যান হওয়ার পরে থেকে সে আওয়ামী লীগের কোন তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখেনি। কারো সাথে কোন আলোচনা বা সম্পর্ক রাখেনি। সে জামাত-বিএনপি’র কিছু মানুষের সাথে সমস্ত ইউনিয়ন পরিষদের সকল সুযোগ সুবিধা তাদের সাথেই শেয়ার করে এ পর্যন্ত চলাফেরা করে। যার কারনে আমরা এমপি মহোদয়ের কাছে যাই এ বি মহোদয় বলে ঠিক আছে আপনারা আমার সাথে থাকেন আপনাদের সুযোগ-সুবিধা আমি দেখবো। ইউনিয়ন পরিষদে অনেক সুযোগ সুবিধা আছে।যা আমরা দেখেছি।  কিন্তু সেগুলোর সুফল ভোগ করে জামাতের লোকজন। এটা নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা-সমালোচনা  করলেও কোন কথারই কর্ণপাত করেনি চেয়ারম্যান। সে যায় জামাত-বিএনপির লোকজন নিয়ে সেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিল ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো উনি  জামাত বিএনপি লোকজন নিয়ে সে কাজ শুরু করেছে। জানবে আমার বিএনপির লোক নিয়ে চলাফেরার কারণে চরম ক্ষতি হচ্ছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এরা কিন্তু কেউই নৌকায় ভোট দেবে না। কিন্তু চেয়ারম্যানের মিজানের সাথে তারা যোগাযোগ করে তারা ঠিকই সুযোগ

 

সুবিধা গুলো নিচ্ছে। এরজন্যে আমাদের চরম ক্ষতি হচ্ছে এবং দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আবেদন যাতে জামাত বিএনপির এসব লোক যাতে কোন সুবিধা না নিতে পারে। এদিকে যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান সাবান বলেন,আমার জানামতে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে নৌকা প্রতীক দেয়ার পরে সে  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে জননেত্রী শেখ হাসিনার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সে আওয়ামী লীগের লোকজনকে না দিয়ে সে জামাত-বিএনপি লোকের সেই আমি লীগের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বিধবা বয়স্ক ভাতা তাদের দিচ্ছে এবং জামাত বিএনপি এই যদুবয়রা ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সে সর্বোপরি কাজ করছে এবং দলীয়

 

নেতাকর্মী যারা আছে তাদের  লাঞ্ছিত করছে এবং বিভিন্নভাবে তাদের হেও প্রতিপন্ন করছে। এবং আমার জানামতে আমি দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে বলতে পারি আওয়ামী লীগের যারা সাধারণ কর্মী দল পাগল মানুষ যারা কেউ তার সাথে ক নেই। সে জামাত বিএনপির লোকজন নিয়ে যদুবয়রা ইউনিয়নে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। গত বছরের শোকে মাসে আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব তিনি চেয়ারম্যান কাপ নামে একটি খেলা দিয়ে সারা মাস এবং ১৫ ই আগস্ট যেদিন ঐদিনকে সারা বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ করে পালিত হয় কিন্তু সে এই খেলা দিয়ে সারা ইউনিয় ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমরা এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করি। অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে যদুবয়রা ৮ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান জানান, আমি আসলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক একজন সৈনিক। ছাত্র জীবনে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। আমার যারা প্রতিপক্ষ আছে তারা এসব ছবি ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top