সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকেঃ দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রহ্মগাতী নিবাসী মোঃ গোলাম মোস্তফার পুত্র ও সেনহাটি আলহাজ্ব সরোয়ার খান ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের নামে দিঘলিয়া থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ব্রহ্মগাতী গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত পিটিশন খুলনা ডিআইজিসহ পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রাম নিবাসী মোঃ গোলাম মোস্তফার সাথে তার ছোট ভাই মৃত ইয়ার আলীর স্ত্রী খাদিজা বেগমের বসতবাড়ি ও জমিজমা নিয়ে মামলা চলমান। এ মামলার জের ধরে প্রতিপক্ষকে দমনের উদ্দেশ্য নিয়ে খাদিজা বেগমের নতুন জামাই রমিবুর রহমান (সোহাগ) এর গোপন চক্রান্তে গোলাম মোস্তফার কলেজ পড়ুয়া পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের নামে দিঘলিয়া থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি দায়ের করে।
যার নম্বর দিঘলিয়া থানা মামলা নং ১৬, জিআর ৭৬/২৩ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২৩) এর ১০ ধারা, তারিখ ১৬/০৮/২০২৩ ইং। গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত পিটিশনে গোলাম মোস্তফার পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মামলার প্রতিপক্ষকে দমন করে বসতবাড়ি ও জমিজমা দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে নতুন জামাই রমিবুর রহমানের গোপন চক্রান্তে মৃত ইয়ার আলীর স্ত্রী খাদিজা বেগমের পক্ষ থেকে গোলাম মোস্তফার পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রামবাসী তাদের আবেদনে উল্লেখ করেছেন তাদের গ্রামে এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানিয়েছেন।এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান, খাদিজা বেগমের নতুন জামাই রমিবুর রহমান খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার নাজিরঘাট মেইন রোডের হোল্ডিং বাসা নং ৭৩ এর বাসিন্দা। উক্ত রমিবুর ওরফে সোহাগ তার এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। সে এর আগেও একাধিক মেয়েকে বিবাহ করেছে। সে পলাতক অবস্থায় এসে খাদিজা বেগমের কন্যা মিম্মাকে বিবাহ করে শাশুড়ির জমিজমা দখলে নেওয়ার মতলবে এ মামলা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সে গত ১৩ আগষ্ট ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী দল নিয়ে গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হামলা ও ভাঙ্গচুর করে। এ সময় গোলাম মোস্তফাসহ বাড়ির সদস্যরা বড়িতে ছিলেন না। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।