বগুড়া শেরপুরে এস আই এর বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা না নিয়ে আপোষ করার পরামর্শ দেয় ওসি

 শেরপুর ( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) এর বিরুদ্ধে বগুড়ার আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছে এক তরুণী (২৩)। গত ১৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয় বলে বাদীর আইনজীবী লুৎফর রহমান জানান। আসামি এসআই মিথুন সরকার (২৮) সাময়িক বরখাস্ত হয়ে পুলিশ লাইনসে আছেন। তাঁর বাড়ি শেরপুর জেলার সদর থানার বয়ড়া পালপাড়া গ্রামে। বাদীর আইনজীবী বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ওই তরুণী বগুড়ার শেরপুর থানার সহযোগিতা নেন। তখন এসআই মিথুনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।

 

সেই পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে এবং দুজনের মধ্যে সাক্ষাৎ চলতে থাকে। সনাতন ধর্মের পরিচয় গোপন করে মিথুন সরকার তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয়। গত ৩ জুন২০২৩ তাঁরা দুজনে মোটরসাইকেলে করে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় যান এবং বসে অনেকক্ষণ গল্প করেন। এরপর বিকেলে দাওয়াতের কথা বলে ওই তরুণীকে শাহ্ বন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকার টোলা এলাকায় এক বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে মিথুন ‘ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক’ করার পরে যখন ঐ তরুণী কান্নাকাটি শুরু করে তখন মিথুন সরকার ঈদের পরে বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে মিথুনের ধর্মীয় পরিচয় জানতে পারলেও ঐএসআইকে বিয়ে করতে রাজি হয় তরুণী। কিন্তু মিথুন তাতে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ জুন২০২৩ থানায় মামলা করতে যান ভুক্তভোগী । কিন্তু থানার ওসি

 

মামলা না নিয়ে মিথুনের পূর্বপরিচিত একজনের মাধ্যমে আপস করার পরামর্শ দেয়। অত:পর মিথুন বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মামলা করেন ঐ তরুণী। এর আগে ২২ জুলাই ওই তরুণী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর মিথুনকে ৮ আগস্ট বগুড়ার আদমদীঘি থানায় বদলি করা হয়। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমি সত্যতা মেলায় ৯ আগস্ট এসআই মিঠুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদমদীঘি থানা থেকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে জানতে এসআই মিথুন সরকারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল ধরেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা মামলা না নেওয়া বা আপস করার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।তিনি বলেন এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ আমার কাছে আসে নাই। আমি ওই তরুণীকে চিনি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top