গ্রেফতারকৃত আসামিকে ছেড়ে না দেওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

মীর ইমরান-মাদারীপুরঃ মাদারীপুরের শিবচরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে না দেওয়ায় । জামিনে বেরিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোর্টের মাধ্যমে মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
আসামি আকমাল মাতুব্বর নামের ঐ ব্যক্তির অভিযোগ আমলে নিয়ে পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত সূত্রে জানা যায়,গত(৭জুন)জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের ছলেনামা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারের উপর আক্রমণ চালায় আকমাল মাদবর ও তার লোকজন।এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়। পরে ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আকমাল মাদবরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মাদারীপুর কোটে একটি মামলা দায়ের করেন।ঐ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান শিবচর থানার এস আই নুর মোহাম্মদ।নুর মোহাম্মদ গত(৭জুলাই) হ,,,, সন্ধ্যায় আকমাল মাদবরসহ ৩ জনকে ও পরের দিন সকালে ১ একজনকে আটক করে।

আটকের পর থেকে কোর্টে প্রেরণের আগ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে ছুটে যেতে চেষ্টা করে। প্রলোভন বা ক্ষমতা দেখিয়েও হাজত থেকে বের হতে পারেনি আকমাল।
পরে কোর্টের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে এসে এস আই নুর মোহাম্মদকে আসামি করে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখের বিষয় আকমাল মাদবর বলেন, পুলিশ আমাকে ও আমার লোকদের আটক করেছে।বাকি আসামিদের ধরতে সময় অসময় বাড়িতে যায়। এস আই নুর মোহাম্মদ আমাদের কোন কথাই রাখে নাই। হয়রানি থেকে বাচতে মামলা করেছি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত এস আই নুর মোহাম্মদ বলেন,মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের আটক করি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করেছি।বিভিন্নভাবে আটকৃত আসামি পালাতে চাইছিল। আমি আসামীদের থানা হাজত থেকে কোর্টে প্রেরণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করেছি।

জামিনে এসেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে ঐ মামলার বাদী আকমাল মাদবর নামে এক আসামী। তাকে নির্যাতন করা হলে মেডিকেল রিপোর্ট থাকতো। কোর্টে সে কোন ধরনের মজবুত কোন প্রমান দিতে পারেনি। এসআই নূর মোহাম্মদ চান সঠিক তদন্ত করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক। মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ রকম একটি মামলার ঘটনা জেনেছি। পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দিলে সত্যিটা জানা যাবে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি আকমাল মাদবরকে থানা হাজতে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। মেরে হাত ভেঙে ফেলা হয়। থুথু ও মূত্র খাওয়ানো হয়। তবে এ বিষয়ে কোর্টে কোন মেডিকেল রিপোর্ট ও এক্সরে দেয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *