হারাধন কর্মকার রাজস্থলীঃ রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা সংলগ্ন রাজবিলা ইউনিয়নের ইসলামপুর ৫নং ওয়ার্ডে গাইন্দ্যা বাজারের শেষ মাথার প্রায় দশটি পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে চরম ঝুঁকিতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাতের বেলায় পাহাড়ের একটি সাইট ধ্বসে গাছ ঘরের উপরে পরে একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যায় হালিম মোল্লার পরিবার। একদিকে পাড়ের পাশ ঘেঁষে ঘর নির্মাণ অন্য দিকে উপরে প্রতিবন্ধী জামাল নামে এক পরিবার তার বয়স্ক মা ও ছেলে মেয়ে নিয়ে সামনে বিশাল এক বড় পাহাড় ধসের ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছেন বলে জানান। এবং বসতভিটা টুকু বিলিন হয়ে গেলে একে বারে ভুমি হীন হয়ে যাবে বলে মনে করেন। এদিকে পাশ্ববর্তী এলাকা ইসলামপুর গাইন্দ্যা বাজারে আনসার ভিডিপি ক্লাবে ঝুঁকিপূর্ণ ১০ পরিবারকে আশ্রয়ন কেন্দ্র খুলে সেখানে নিরাপদে নিয়ে আসে রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য অংপ্রু মারমা। তাদেরকে মঙ্গলবার রাত থেকে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী জানান গত দুই বছর আগে বিভিন্ন পত্রিকায় লিখা – লিখির এক পর্যায়ে উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তর এলজিইডি থেকে ১০লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রকল্পটিতে কিছু বল্লী পুতে মাটির বস্তা দেওয়া হয় এবং উপরে একটি ড্রেন নির্মাণ করে দেওয়া হয় । প্রকল্পটি ছিলো শুধু মাত্র লোক দেখানো। কোন কাজেই আসে নাই প্রকল্পের কার্যক্রম। উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কোন তদারকির না থাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নয় ছয় করে অধিকাংশ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে আমার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে। একটু টানা বৃষ্টি হলেই চোখে ঘুম হারায় হয়ে পরে জামাল সহ আশ পাশের পরিবার গুলোর। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দা হালিম মোল্লা বলেন আমরা দিনে এনে দিনে খাই। তেমন টাকা পয়সাও নেই যে অন্য স্থানে যায়গায় কিনে আবার নতুন ঘর নির্মাণ করে বসবাস করবো। নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিতে বসবাস করছেন বলে জানান। হালিম মোল্লা আরো বলেন এলজিইডি থেকে যে দশ লক্ষ টাকার বরাদ্দ হয়েছে সে টাকা গুলো কোথায় খরচ করলো এবং কি কাজ করলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়া দাবি জানান। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মংনু মারমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন
ও ত্রান বিতরণে এসে তিনি বলেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি এলাকা যে হারে উন্নয়ন করছে। সে হারে কাজ গুলো বাস্তবায়ন হলে নৌকার জন্য ভোট চাইতে হয়না। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনা বান্দরবান জেলার আনাচে কানাচে যে হারে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সে গুলোর তালিকা দেখলে মনটা আনন্দে ভরে যায়। রাজবিলা ইসলামপুর এলাকায় এসে দেখি জনকল্যাণে জন্য ভাঙ্গন রোধে উপজেলা এলজিইডি থেকে দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দের মধ্যে মনে হয় দুই লক্ষ টাকার ও কাজ হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা বলে জানান। রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য অংপ্রু মারমা বলেন ইসলামপুর এলাকায় ভাঙ্গনের কথা টি পূণরায় শুনলে আমার অনেক কষ্ট লাগে।কারন গত এক থেকে বছর আগে আমার ইউনিয়নে কোন কাজ না নিয়ে এলজিইডি এডিপি থেকে ১০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দিয়েছি ইসলামপুর এলাকায় বড় ভাঙ্গন ঠেকাতে ওয়াল নির্মাণ ও ড্রেন নির্মাণের জন্য।কিন্তূ টিকাদার কাজটি এমন ভাবে অনিয়ম করবে আমি কল্পনা ও করি নাই এবং এলাকার কোন ব্যাক্তি আমাকে বিষয়টি বলেনি । মাস তিনেক পরে বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আমি প্রকল্পটি কথা তুলে ধরেছি। বরাদ্দটি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ গেলে আমি সেটি নিয়ে কথা বলবো।