ইমাদুল ইসলাম যশোরঃ যশোর র্যাব -৬ খুলনা জেলার খানজাহান আলী থানাধীন গিলাতলা ২নং কলোনী হতে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী নুর খাঁ’কে গ্রেফতার করেছে।
র্যাব -৬, সিপিসি -৩ যশোর সুত্রে জানা যায়,ভীকটিম শার্শা থানার সিকারপুর গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেন একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ভিকটিম ও নুরু খাঁ একত্রে ব্যবসা করতো। গত ইং ১১ ডিসেম্বর ২০০৩ ইং ভিকটিম মোঃ আলমগীর হোসেন এর বাসায় নুরু খাঁ এসে ব্যবসার কাজে ঝিকরগাছা যেতে হবে বলে জানায়। ভিকটিম তখন বাড়িতে গচ্ছিত রাখা ৭৫,০০০/- টাকা নিয়ে নুরু খাঁর সাথে রওনা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়িতে ফিরে না আসলে ভিকটিমের স্ত্রী নুরু খাঁর সাথে যোগাযোগের চেস্টা করে ব্যর্থ হয়। ভিকটিমের স্ত্রী তার আত্মীয়দের সাথে পরামর্শ করে আলমগীর হোসেন’কে খুজে না পেয়ে নুর খাঁ ও তার সহযোগী ব্যবসায়ীদের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় ইং ১৭ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখে (খুন অথবা গুম করার উদ্দেশ্যে অপহরণ) মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে উক্ত ঘটনার পরপরই নুরু খাঁ নিজেকে আত্মগোপন করে। উক্ত মামলাটি তদন্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম আলমগীর হোসেন’কে নুরু খাঁ সহ তার সহযোগীরা মিলে হত্যা করে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। আসামী নুরু খাঁ পলাতক থাকা অবস্থায় উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ইং ২৫ জুলাই ২০২৩ ইং আসামী নুরু খাঁ (৭২)’কে যাবজ্জীবন সাজা সহ ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা
জরিমানা অনাদায়ে আরও ০৬ (ছয়) মাসের সশ্রম কারাদন্ডের সাজা প্রদান করেন। আসামী আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে র্যাব-৬, যশোর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে। কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব আহমেদ জানান,আজ ০৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখ দুপুরে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা জেলার খানজাহান আলী থানাধীন গিলাতলা ২নং কলোনিতে অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজা সহ ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ০৬ (ছয়) মাসের সশ্রম কারাদন্ড আসামী নুরু খাঁ (৭২), পিতা- গফুর খাঁ, সাং- টুনিয়াগড়া(বেগরীতলা), থানা-মনিরামপুর, জেলা- যশোর’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর জেলার মনিরামপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।