ফুলবাড়ীগেটের তেলিগাতী-সিটি বাইপাস সড়কে বড়বড় খানাখন্দে পরিনত, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট যান ভারী যান চলাচল বন্ধ, জনদুর্ভোগ চরমে

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ নগরীর ফুলবাড়ীগেটের তেলীগাতি-কেডিএ বাইপাস সংযোগ সড়কটি দীর্ঘদিন অযতœ, অবহেলায় যাতাযাতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেঁছে। গুরুত্বপুর্ণ সড়কটির গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সামনে থেকে তেলিগাতী পাকারমাথা হয়ে কেডিএ সিটি বাইপাসের সড়কের প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ স্থানের কার্পেটিং এবং খোয়া উঠে বড়বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। কয়কদিনের বর্ষায় গর্ত গুলো খাদে পরিনত হওয়ায় বর্তমানে সড়কটি দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়েগেছে। ছোট যানবাহন গুলো চলছে চরম ঝুকির মধ্যে দিয়ে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ) কর্তৃক সড়কটি নির্মাণের দীর্ঘ একযুগেও কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কটি বেহাল অবস্থায়। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, ফুলবাড়ীগেট-তেলিগাতী পাকারমাথা পর্যন্ত সড়কটি বর্ধিত করে ২০১০ সালে খুলনা মংলা হাইওয়ে কেডিএ বাইপাসের সড়কের সাথে সংযোগ দেওয়া হয়। শহরের যানবাহনের চাপ কমাতে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ) সোয়া এক কিলোমিটার দৈর্ঘ এবং ৩০ ফুট চওড়া এই সড়কটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর সড়কটির রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধনের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) কাছে হস্তাস্তর করে। কেডিএ এবং এলজিইডি’র রশি টানাটানিতে নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোন সংস্কার কাজ হয়নি সড়কটির।

বর্তমানে সড়কের অধিকাংশ স্থানের কার্পেটিং এবং খোয়া উঠে বড়বড় খানাখন্দে পরিনত হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। জনগুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটি দিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(কুয়েট), গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুুল, সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, এইচএসটিটিআই, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার, খুলনা মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টিটিসি খুলনা, খানজাহান আলী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, জনতা ব্যাংক কুয়্টে কর্পোরেট শাখা, কুয়েট পোষ্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার মানুষ যাতাযাত করে। এছাড়াও তেলিগাতী, খানাবাড়ী, রংপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। সড়কটি দিয়ে বর্তমানে ইজিবাইক, মটরসাইকেল, সাইকেল, ব্যাটারীচালিত ভ্যান, রিক্রাসহ ছোটখাটো যানবাহন ঝুকিপুর্ণভাবে চলাচল করছে। বাস ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ ভারী যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলো এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়াবে এমনটাই আশা করেছে ভুক্তোভোগী মানুষেরা।

এ বিষয়ে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী(এলজিইডি) আবু তারেক সাইফুল কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০২১ সালে সড়কটি সংস্কারে প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজ(চুক্তি) প্রস্তাবনা আকারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। যাতে খরচ ধরা হয়েছিল ২কোটি ৯৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা। তিনি বলেন, হেড অফিস জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় খুলনাকে চিঠি দিয়ে সড়কটি বিষয়ে খোজখবর নিয়েছে। ব্যায়বহুল এই সড়কটির সংস্কারের জন্য যে প্যাকেজ প্রস্তাবনা আকারে পাঠানো হয়েছিল তার অর্থের উৎস পাওয়া যাওয়ায় দ্রুত সময়ে সড়কটির কাজের অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
খুলনা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম আনিছুজ্জামানের কাছে সড়কটির জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় দ্রুত কোন সমাধানের পথ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত দেখছি না। তবে জনদুর্ভোগ বিবেচনায় দ্রুত সময়ে সড়কটির সংষ্কার কাজের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ)কর্তৃক সড়কটি নিমার্ণের পর আর কোন সংস্কার কাজ তারা করেনি। তাছাড়া এক ডির্পাটমেন্ট নির্মাণ করার পর অন্য ডির্পাটমেন্ট ঐ টার মধ্যে কাজ করতে চায় না। এটাই হলো সড়কটি সংস্কার না হওয়া বড় সমস্যা। তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি তবে সড়কটির বিষয়ে আমি খোজখবর নিয়েছি। সড়কটির নিয়ে দৈনিক প্রবাহের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আমি এ বিষয়ে অবহিত হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমি ঢাকা হেড অফিসে কথা বলেছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে এ সড়কের সংষ্কার কাজ করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top