দিঘলিয়ার ভৈরব নদীর দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট সাবেক লঞ্চঘাটে স্থানান্তর গণদাবীতে পরিণত

 সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে::::  খুলনার খুলনা শহর ও দিঘলিয়া উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদের দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটটি স্থানান্তরের যৌক্তিক দাবী বর্তমানে গণ দাবীতে পরিণত হয়েছে। দিঘলিয়ার সকল সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি, সংবাদিক, শিক্ষক,

 

সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ আজ দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট স্থানান্তরের দাবীতে সোচ্চার হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ১১টি খেয়াঘাটের মধ্যে খুলনা জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটটি অন্যতম জন গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম খেয়াঘাট। এ খেয়ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৩০/৪০ হাজার পারাপার

 

যাত্রী পার হয়ে খুলনা জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে। বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশ থেকে যাতায়াতের সময় গুরুত্বপূর্ণ মালামালের গাইট ও একাধিক ল্যাগেজ থাকে। এগুলো নিয়ে বাজারের ব্যস্ততম চিপা গলি দিয়ে মূল সড়কে অথবা মূল সড়ক থেকে খয়াঘাটে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রুগী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রোগী,

 

অন্তঃসত্ত্বা নারী, প্রতিবন্ধী ও বিকলাঙ্গসহ শিশুদের পারাপার ও বাজারের সরু রাস্তা দিয়ে ব্যস্ততম বাজারের লোকজনের সাথে ঠেলাঠেলি করে যাতায়াত করতে হয়। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের উৎসবের সময় দেশ বিদেশ থেকে আসার সময় ল্যাগেজ ও মালামাল নিয়ে ঘাটে পৌঁছা চরম কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। খুলনাসহ দেশের

 

বিভিন্ন স্কুল ও বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। ছাত্রীদের ঘাটের ও বাজারের চিপা গলি দিয়ে যাতায়াতের সময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। এ সকল যৌক্তিক কারণেই উল্লেখিত খেয়াঘাটটি স্থানান্তর করে নিকটবর্তী পরিত্যক্ত সাবেক লঞ্চ ঘাটে করার দাবী এখন সোচ্চার হয়েছে। দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটের

পশ্চিম তীরের ঘাটটি স্থানান্তর করে লঞ্চঘাটে প্রতিস্থাপন গণ দাবীতে পরিণত হয়েছে। যদিও এ ঘাটটি দিঘলিয়া উপজেলার সকল লোকের পারাপারের ঘাট নয় তবুও দিঘলিয়ার বহুলাংশসহ নড়াইল, গোপালগঞ্জসহ পূর্বাংশের অনেক লোক জনস্রোতের ন্যায় এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৩০/৪০ হাজার লোক সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এ ঘাটে পারাপার হয়।

 

দিঘলিয়ার দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট লঞ্চঘাটে স্থানান্তর বাস্তবয়ন কমিটি স্থানীয় আলোর মিছিলসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে দাবী পূরণের আন্দোলনের মাঠে নানা কর্মসূচী নিয়ে সোচ্চার রয়েছেন। তারা সপ্তাহব্যাপী দিঘলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট স্থানান্তরের যৌক্তিকতা জন সন্মুখে তুলে ধরা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

 

বাস্তবায়নে খুলনার বিভিন্ন মহলে সাড়া জাগিয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজধানী ঢাকা শহরে বসবাসরত আমরা দিঘলিয়বাসীসহ প্রবাসী দিঘলিয়াবাসী এ যৌক্তিক দাবীর প্রতি জোর সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। খুলনার ভৈরব নদের দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট স্থানান্তরের দাবী বর্তমানে শুধু দিঘলিয়াবাসীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ দাবী এখন খুলনায় বসবাসরত

 

মাগুরা, নড়াইল ও গোপালগঞ্জের অনেকের দাবী। এ দাবী বর্তমানে গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। এ গণদাবী বাস্তবায়নে যারা মাঠে কাজ করছেন তারা এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা আমাদের দাবী আদায় আন্দোলনে অনেকদূর এগিয়েছি এবং জনগণের এ দাবী পূরণ করেই আমরা ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ। দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট পার্শ্ববর্তী সাবেক

 

লঞ্চঘাটে স্থানান্তরের দাবীকে সামনে নিয়ে যারা সন্মননা, সমর্থন ও মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করছেন তারা হলেন আলোর মিছিলের উপদেষ্টা শেখ আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আজগর আলী, সেনহাটি আলহাজ্ব সরোয়ার খান ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠা অধ্যক্ষ অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, শেখ জোবায়ের হোসেন, ডাঃ হাফিজুর রহমান, সৈয়দ সেকেন্দার

 

আলী, পরিবেশবাদী সংগঠন আলোর মিছিলের উপদেষ্টা মোল্লা মাকসুদুল ইসলাম, সাংবাদিক শেখ মনিরুল ইসলাম, একরামুল হোসেন লিপু, সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, জিএম আকরাম, সৈয়দ শাহজাহান, ব্রক্ষগাতী ব্লাড লাইনের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, কবি কৃষ্ণ চন্দ্র ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি অধ্যাপক প্রসেনজিৎ শিকদার, দৌলতপুর খেয়াঘাট লঞ্চ

 

ঘাটে স্থানান্তর বাস্তবায়নের আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলাম রাজিব, আলোর মিছিল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দাবী বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক শেখ তারেক, ফরমাইশখানা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম, দিঘলিয়া প্রতিবন্ধী দুস্থ সংস্থার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পরিচ্ছন্ন দিঘলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও এ দাবী বাস্তবায়ন কমিটির

 

সদস্য সচিব শেখ রিয়াজ, সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসেন, সাংবাদিক ডাঃ সৈয়দ আবুল কাসেম, আরিফুল ইসলাম হাসান, আঃ কাদের জনি, শেখ শামীমুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ, দৌলতপুর খেয়াঘাট বাজার কমিটির সভাপতি মোল্যা রাজু আহম্মেদ, স্বপ্ন তরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গাজী আলী বাকের প্রিন্স, আলোর মিছিলের শাহাজাহান মোড়ল, দিঘলিয়া

 

ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মোঃ সালাউদ্দিন বাবু, ঘোষগাতী যুব সংঘের সভাপতি আসাদুজ্জামান আশা, দিঘলিয়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি শেখ আল আমিন, মোঃ বাবু, নবী হোসেন প্রমুখ। সর্বশেষ জানা গেছে, দিঘলিয়ার দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট পার্শ্ববর্তী লঞ্চ ঘাটে স্থানান্তর বাস্তবায়নের সকল কর্মকাণ্ড সাফল্যের দিকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এ দাবী বাস্তবায়নে কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধি বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এমনই তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top