পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: পটিয়া পৌরসভার শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষক পাঠদান থেকে বিরত রয়েছে। শশাংকমালা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলী হওয়া ৭ শিক্ষক মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট গত ৫ জুলাই তাদের বদলীর আদেশ স্থগিত করে। এরপর গত ১২ জুলাই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা
কর্মকর্তার নিদের্শে তারা তাদের পূর্বে’র কর্মস্থল শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে একখানা আপিল আবেদন দায়ের করেন। গত ১৬ জুলাই শুনানী শেষে চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের
দেওয়া আদেশ ও রুলনিশির জবাব না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে পরিচালনা কমিটি’র এক সদস্য ও এক শিক্ষিকার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন একযোগে ১৭ শিক্ষককে বদলী করা হয়।
এরমধ্যে ৭ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে ৭ শিক্ষকের বদলীর আদেশ স্থগিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়কে রুলনিশি জারি করে হাইকোর্ট। বদলী’র কারণে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ৭ জন শিক্ষক শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ৯ জুলাই যোগদান করেন। তাদের নতুন যোগদান করা প্রধান শিক্ষক দিলুয়ারা বেগম
ক্লাস বন্টন করে দেন। কিন্তু বদলী আদেশ স্থগিত হওয়া ৭ শিক্ষক গত ১০ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে হাজিরা দিয়ে বসে থেকে খোসগল্প করে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। তাদেরকে পাঠদানের জন্য এখনো কোন ক্লাস বন্টন করে দেওয়া হয়নি। এমনকি বিদ্যালয়ের কোন দাপ্তরিক কাজও তাদের করতে দিচ্ছে না। এ
ব্যাপারে জানতে চাইলে শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলুয়ারা বেগম জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় তাদেরকে ক্লাস বন্টন করা যাচ্ছে না। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যয়ন ও কিছু দাপ্তরিক কাজ দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম
জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চাইলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে রিটপিটিশনকারী শশাঙ্কমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে মৌসুমী দেব, সুমন দাস, আখতার জাহান চৌধুরী, আকলিমা বেগম, মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন, তাহমিনা আক্তার ও সহকারী শিক্ষক শর্মিলা দাস। এদিকে পটিয়ার সচেতন
মহল ঐতিহ্যবাহী পটিয়া পৌর সদরে শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরী এমপি, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন