ছাতকে ভুমিহীন পরিবারের বাজার ভিটা দখলে মরিয়া স্কুল শিক্ষক ভূমিখেকো গোলাম নবি

সেলিম মাহবুব,ছাতকঃ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে এক ভূমি খেকো প্রতিবেশীর রোষানলে পড়েছেন ভুমিহীন পরিবারের আনছার আলী। এ পরিবারে একটি বাজার ভিট দখল করতে মরিয়া গোবিন্দগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম নবি। আনছার আলী উপজেলার গোবিন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা গোলাম নবি। আনছার আলীর বন্দোবস্তকৃত ভুমিতে রাতে জোর করে দোকান ঘর তৈরী করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গোবিন্দগঞ্জ আনছার আলীর দখলীয় একটি দোকান ভিট দখল করতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক গোলাম নবি। এ ব্যাপারে ছাতক থানায় আনছার আলীর একটি জিডি (নং ১০৯, তাং ০৩.১১.১৯ ইং) রয়েছে।

সিঙ্গূয়া মৌজার ১৫৬ দাগের সরকারি ১ শতক ভুমিতে আনছার আলীর দোকান ঘর। তিনি জেলা প্রশাসক থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে সরকারি খাজনাদি পরিশোধ করেই দোকানদারী (ব্যবসা) পরিচালনা করছেন। এ নিয়ে গোলাম নবি তার সাথে দেন-দরবারে লিপ্ত। গত ৬ জুলাই সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আনছার আলীকে ভুমির মালিকানা বুঝিয়ে দেন। তার দখলীয় ও বুঝিয়ে দেয়া ভুমিতে ৮ জুলাই পুরো অংশে দোকান কোঠা নির্মাণ করতে প্রস্তুতি নিলে শিক্ষক গোলাম নবি ও ভোররাতে এখানে জোর পুর্বক ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। এবং আনছার আলীর দোকান ঘর ও মালামাল ভাংচুর করে। এতে দু”পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হবার পর সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল গোলাম নবি”র ঘর উঠিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু গোলাম নবি এ বিষয়ে কর্ণপাত করেননি। আনছার আলী জানান, গোলাম নবি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাকে বার-বার প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাকে এবং তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করছেন। শিক্ষক হয়ে তিনি ব্যবসায়ী সেজে ভুমি বন্দোবস্ত পাওয়ার আবেদন করায় তার আবেদন বাতিল হয়েছে। শিক্ষক কর্তৃক সরকারি ভুমি জোর দখলের বিষয়ে আনছার আলীর স্ত্রী মোছাঃ শিপা বেগম গোবিন্দগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত ১৬ জুলাই তিনি এ অভিযোগ দেন।অভিযোগের কপি সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার সহ মাধ্যমিক

শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে। মোছাঃ শিপা বেগম বেগম জানান, একজন শিক্ষক কর্তৃক ভুমিহীন পরিবারের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়ার পক্রিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়েছেন তিনি। এজন্য তার পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, গোবিন্দগঞ্জ বাজারে শিক্ষক গোলাম নবি ও আনছার আলীর মধ্যে দোকান ভিটা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সরকারি

ভুমি নিয়ে তাদের মধ্যে এ বিরোধ।এখানে আমার কিছু করার নেই। বিষয় সরকারি ভাবেই নিষ্পত্তি প্রয়োজন। সহকারি কমিশনার ( ভুমি ) মোঃ ইসলাম উদ্দিন এই ব্যাপারে জানান, বিরোধকৃত সরকারি ভুমিতে আনছার আলীর একটি দোকান ও গোলাম নবি”র একটি দোকান রয়েছে। আনছার আলীর নামে আধা শতক ভুমি বন্দোবস্ত আছে। দোকান ভিটাসহ মোট ভুমি ২ শতক এর মধ্যে আধা শতক বাদে গোলাম নবিসহ আরো ৩ জন আবেদনকারী রয়েছেন। প্রত্যেককে তাদের নামে আধা শতক করে ভুমি বন্দোবস্ত দেয়ার প্রস্তাব করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top