প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।বি এম মোজাম্মেল হক

রিপোর্টার মিজানুর রহমানঃ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বি এম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সংবিধান মানে না। ওরা ‘৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে সংবিধানকে হত্যা করেছিলো। ওরা মুখে বড়-বড় কথা বলেন। ‘৭১ ও ৭৫’র পরাজিত শক্তি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ওদের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে দলের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। বিএনপি-জমায়াতের ষড়যন্ত্রকারীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে এদেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। তার নেতৃত্বে দেশ আজ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক

রহমান ঈর্ষান্বিত হয়ে উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে আছে বেগম খালেদা জিয়া ও বিশ্ব চোর তারেক রহমান। এদেরকে যুব ঐক্য গড়ে তুলে প্রতিহত করতে হবে। ‘৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে জিয়াউর রহমানকে গণতন্ত্রকে ক্যান্টনমেন্টে ভর্তি করেছিলো। ‘৭১ সালে জাতির পিতার হত্যার বিচার বন্ধ করে মানবাধিকারকে হত্যা করেছিলো তারা। এখন বিদেশী প্রভুদের ডেকে নিয়ে তারা আমাদের সার্বভৌমত্ব, আমাদের মূল্যবোধকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। যুবকদের ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা বিরোধী এ চক্রকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা তারা সংবিধান মানে না। কারণ তারা সংবিধানকে বার বার হত্যা লঙ্ঘন

করেছে। তাই আমাদের স্পাত কঠিন ঐক্য গঠন করে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নগরীর ডাকবাংলাস্থ সোনালী ব্যাংক চত্বরে খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একজন সফল প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কারণেই দেশের মানুষ আজ ভালো আছে। তাই বাংলার মানুষ বুঝে গেছে সুষ্ঠু ভাবে দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনার সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণের ভোটের মাধ্যমে আ’লীগ পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চায়। তিনি

বলেন, বিএনপি হত্যাকারীদের সাথে নিয়ে খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, খুলনার মাটিতে বিএনপি-জামায়াতের কবর রচনা করা হবে।’সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর আ’লীগের সভাপতি নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন, খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ, নগর সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সোহেল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দীর সার্বিক উপস্থাপনায় বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম,

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ রবি নেওয়াজ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য যথাক্রমে বিনয় কান্তি জোয়ার্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মোঃ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে এড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক রাসেল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান সোহাগ। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, নগর দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম, নগর যুবলীগের সাধারণ

সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এম আসাদুজ্জামান রাসেল, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগ পারভেজ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল তালুকদার, নগর যুবলীগ নেতা সাংবাদিক অভিজিৎ পাল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর, যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তসলিম হোসাইন তাজ প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/যুগ্ম-আহবাকগণ মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করেন। মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও খুলনা জেলা উপজেলা, পৌরসভা ও থানার নেতৃবৃন্দ। ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো মহানগরী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top