নওগাঁর মান্দায় কুসুম্বা মসজিদে সাংবাদিক লাঞ্চিত

অন্তর আহমেদ নওগাঁঃ নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদে সাংবাদিক শহিদুল লাঞ্চিত হয়েছে তিনি দেশ বাংলা পত্রিকার নওগাঁ প্রতিনিধি। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সাড়ে বারোটায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে কুসুম্বা আসেন শহিদুল মসজিদের ছবি তোলার সময় বাঁধা প্রদান করেন
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের আরকলোজি বিভাগের অফিস সহকারী পদে চাকরি করেন আনিছুর রহমান। শহিদুল তার পেশাদারিত্ব কাজে মসজিদের ছবি তুলতে চাইলে টাকা দাবি করে আনিছুর রহমান। সাংবাদিক টাকা দিতে অ-স্বীকৃতি জানালে আনিছুর রহমান অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও মারমুখি আচরণ করলে মসজিদে আসা দর্শনার্থীগণের বাধার মুখে ক্ষান্ত হয়। সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জানান, কুসুম্বা

মসজিদে পেশাদারিত্ব কাজে নিজের কাজ করে যাচ্ছিলাম হঠাৎ আনিছুর এসে আমার কাছে টাকা দাবী করেন। আমি অবাক হয়ে তাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ছবি তুলতে নিষেধ করেন। আমি কারন জানতে চাইলে তিনি মারমুখি আচরণ শুরু করে এক পর্যায়ে গায়ে হাত দেয় এ সময় কিছু দর্শনার্থী এগিয়ে আসলে তিনি চম্পট দেয়। আমি চাই ঐতিহ্যবাহী দর্শনার্থী স্থানে এমন ক্যাডার বাহিনীর দাঁড়া আর কেউ যেন লাঞ্ছিত না হয় সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।দর্শনার্থী তুহিন রেজা বলেন, আনিস আমাদের সহ বিভিন্ন দর্শনার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করছে। মসজিদে একজন সাংবাদিকের কাজের বাঁধা দেওয়া, খারাপ আচরণ করাতে আমি দেখেছি। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি। একজন অফিস সহায়ক হয়ে তিনি এমন কাজ এখানে কি কেউ দেখার নেই?

কুসুম্বা মসজিদ কমিটির সভাপতি সেকেন্দার বলেন, আনিছুর এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল যা সবাই অবগত আছেন। আগত দর্শনার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করার কারনে অন্য যায়গায় তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কয়েক বছর পড়ে আবার তাকে এখানে আনা হয়। তবে এ ধরনের মারমুখি আচরণ সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী মুঠোফোনে বলেন, সাংবাদিক শহিদুল ফোন করে জানাইলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top