জামালপুরে বিএডিসিতে রোরো বীজ ধান দিয়ে লোকসানের মুখে হাজারো চুক্তিবদ্ধ চাষী

জামালপুর প্রতিনিধিঃ বিএডিসির কাছে বোরো ধানের বীজ সংগ্রহ করে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে জামালপুরের প্রায় ৩হাজারের মত চুক্তিবদ্ধ চাষী। চলতি বোরো ধানের মৌসুমে বিএডিসি থেকে যে দাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে চাষীদের উৎপাদন খরচই উঠবে না, বলে দাবী জেলার চুক্তিবদ্ধ চাষীদের। ফলে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। জামালপুর চুক্তিবদ্ধ চাষী কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ মো: ফরহাদ হোসেন জানান, বিএডিসি বীজ ধান সরবরাহ এবং গ্রেডিং চার্জ প্রতি কেজি ১৫পয়সা থেকে ৪গুন বৃদ্ধি করে ৬০পয়সা করা হয়েছে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় দর ধার্য করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিস

নজরদারি না করে পূর্বের নিয়মে বীজের দাম নির্ধারন করেছেন । তিনি আরো বলেন সরকার ধান/চাল সংগ্রহে প্রতি কেজি ৪ টাকা বৃদ্ধি করা হলেও বিএডিসির চাষী’রা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয় বীজ ধান সরবরাহের পর তিন থেকে সাত মাস পর চাষীদের বীজের নির্ধারিত পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়। বর্তমানে ধানের জমির লীজের টাকা, সেচ,সার,বিষ কীটনাশক এবং শ্রমিকের মজুরীর টাকা মিলিয়ে বীজ উৎপাদনের খরচ ৪/৫গুন বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বীজ উৎপাদনের খরচ হিসেব না করে যে বীজের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে তা কম হয়েছে। এতে করে চুক্তি ভিত্তিক চাষী’রা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে। বিএডিসি চুক্তিবদ্ধ চাষী কল্যান সমবায় সমিতির জামালপুর জেলার সাধারন সম্পাদক মো: হারুন অর রশিদ জানান, চলিত বছরে চলমান রোবো মৌসুমে

বিএডিসি চিকন জাতের ধান ৪৪টাকা কেজি ও মোটা জাতের জাতের ধান প্রতিকেজি ৪৩টাকা নির্ধারন করলে সারাদেশের চুক্তিবদ্ধ চাষী’রা এক যুগে শান্তিপূর্ন আন্দোলন করলে প্রতি কেজিতে ১টাকা করে বাড়িয়ে দেন । কিন্তু তাতে চুক্তিবদ্ধ চাষী’রা খুশি নন। তাদের দাবী হচ্ছে প্রতি চিকন ধান ৪৭ এবং মোটা জাতের ধান ৪৮টাকা নির্ধারন করা হোক । এতে করে চাষীদের উৎপাদিত খরচের সাথে সমন্বয় করে কিছু টা লাভ মুখ দেখতে পারবে চাষী’রা । চুক্তিবদ্ধ চাষী আলহাজ¦ মোহাম্মদ আলী জানান, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে দেখে আসছি ব্রিধান ২৮জাতের সাথে ব্রিধান ২৯ এবং ব্রিধান

৮৯ চিকন জাতের ক্যাটাগরিতে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ব্রিধান ২৯ ও ৮৯জাত চিকন জাতের ক্যাটাগরি থেকে মোটা জাতের ক্যাটাগরিতে স্থান্তারিত করার ফলে সারাদেশের বীজ উৎপাদন কারী চাষীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ রিবাজ করছে। তিনি আরো বলেন আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীদের দাবী হচ্ছে ব্রিধান ২৯ ও ৮৯জাত কে চিকন জাতের ক্যাটাগরিতে স্থান্তারিত করা হোক। আলহাজ¦ মোহাম্মদ আলী আরো জানান, বীজ ধানের মূল্য বৃদ্ধির দাবীতে যথাযথ কৃর্তপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরে স্বারক লিপি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করেও একটি পত্র জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জামালপুরে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স জোন, আপৎকালীন মজুদ এবং বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের উপ পরিচালকদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top