আমতলীতে মেয়ে অপহরণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে আসামীপক্ষ

 মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) :::: বরগুনার আমতলীতে অপহরণ মামলায় আসামী ও তাদের লোকজন বাদী মেয়ের বাবা মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আহত মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারিকাটা গ্রামে। জানা গেছে, গত ১৮ জুন

 

আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারিকাটা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে আরপাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ঈতিশা শেফাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই ইউনিয়নের মধ্য আরপাঙ্গাশিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান হাওলাদারের ছেলে বখাটে তামিম হাওলাদার। ওই ঘটনায় গত ২০ জুন ঈতিশা শেফার বাবা মিজানুর রহমান মেয়ে অপহরণের ঘটনায় বখাটে তামিমসহ ৪

 

জনকে আসামী করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনার জের ধরে আজ শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে অবস্থিত নিজের পানের বরজে কাজ করার সময় ইতিশার বাবা মিজানুর রহমানকে অপহরণকারী তামিমের বাবা মিজানুর রহমান হাওলাদার, চাচাত ভাই শাহজাহান হাওলাদার, ভাই মিলন হাওলাাদারের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় অস্ত্র রামদা

 

ছেনা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পানের বরজে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্বজনরা খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহত অপহৃত ঈতিশা শেফার বাবা মিজানুর

 

রহমান বলেন, আমার মেয়ে ইতিশা শেফা আরপাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আমার মেয়েকে মধ্য তারিকাটা গ্রামের মিজানুর রহমান হাওলাদারের ছেলে বখাটে তামিম হাওলাদারের নেতৃত্বে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় আমি বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করি। ওই মামলার জের ধরে অপহরণকারী তামিমের বাবা

 

মিজানুর রহমান হাওলাদার এবং ভাই মিলন ও চাচাত ভাই শাহজাহান হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী আমি আমার পানের বরজে কাজ করার সময় ধারালো রামদা ও ছেনা দিয়ে আমাকে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। অপহরণকারী বখাটে তামিমের পিতা অভিযুক্ত মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমরা কোন হামলা করি নাই। আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য ওই ঘটনা

 

সাজিয়েছে। আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, আহত মিজানুর রহমানের মাথায় দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতের ৩টি এবং হাতে পিঠে পিটিয়ে আহত করার একাধিক চিহ্ন রয়েছে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাকাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, ওই বিষয়ে থানায় কেহ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top