ডুমুরিয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

360836485_1546467005888070_622434242392122681_n.jpg

 সরদার বাদশা নিজস্ব প্রতিবেদক ::::: খুলনার ডুমুরিয়ার মিকশিমিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সাধারণ অভিভাবকরা।অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রায় অর্ধশত অভিভাবক স্কুলে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে। সরেজমিনে যেয়ে জানা ও দেখা

 

গেছে, উপজেলার মিকশিমিল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম গত ২১ জুন তারিখ সকাল ৬ টার দিকে স্কুলে প্রাইভেট কোচিং পড়াতে হাজির হন। এ সময়ে দক্ষিন মিকশিমিল গ্রামের বাসিন্দা সেনা সদস্য মোঃ মনিরুল ইসলামের মেয়ে ওই স্কুলে সপ্তম শেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী(১৩) কে একা পেয়ে তাকে পানি এনে দেয়ার কথা বলে রুমে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানী করে। তখন ছাত্রীটি ভয় পেয়ে ক্লাস

 

রুম থেকে বেরিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ছাত্রীর পিতা মনিরুল ইসলাম বলেন,এই স্কুলে আমার দু’জন মেয়ে পড়ে।হেড মাস্টারের এহেন আচারণের পর থেকে তারা স্কুলে যাওয়া আসা বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে আমি গত ২৬ জুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরারব একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কমিটি কোন ব্যবস্হা না নেয়ায় আমি বাধ্য হয়ে জেলা

 

প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিচার চেয়ে মঙ্গলবার স্কুলের প্রায় অর্ধশত সাধারণ অভিভাক স্কুলে সমবেত হয়ে তারা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানায়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহন করার হুশিয়ারী দেন। এ সময় তারা ব্যবস্হা নিতে কালক্ষেপন করায় ম্যানেজিং কমিটির নিষ্কৃয়তারও নিন্দা

 

জানান। আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন,প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ওই ছাত্রীর চলা ফেরা,ছেলেদের সাথে সক্ষতাসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষক হিসেবে আমি তাকে একাধিক বার নিষেধ এবং সতর্ক করেছি। তারপরও সে কথা না শোনায় ঘটনার দিন প্রাইভেট কোচিং ক্লাস চলাকালে আরো কয়েক জন ছাত্র/ছাত্রীর উপস্হিতিতে তাদের সামনে থেকে তাকে শাসন করতে

 

চড়-থাপ্পড় দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেই। এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সালাম এর বক্তব্য নেয়ার জন্যে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য মোঃ মনিরুল ইসলাম সরদার বলেন,লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সভাপতি স্কুলে এসে আমাদের কয়েক জন সদস্যদের উপস্হিতিতে কমিটি মিটিং

 

ডাকতে প্রধান শিক্ষকের কাছে নোটিশ খাতা চায়। কিন্ত তিনি তা না দিয়ে বরং সভাপতির সাথে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হন। সেই সাথে কয়েক জন সদস্য প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে মিটিং ডাকতে আপত্তি জানিয়ে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হওয়ার কারণে মিটিং ডেকে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top