সম্মাননা স্বারক পেলেন এএসআই (নিঃ) গোলাম রসুল

 শফিয়ার রহমান পাইকগাছা খুলনা ::::  খুলনা বটিয়াঘাটা থানায় কর্মরত এএসআই (নিঃ) গোলাম রসুল সততা নিষ্টা কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার সম্মাননা স্বারক পেলেন ভান্ডারকোট ইউনিয়নবাসী ও অন্তদীপন সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন থেকে। বদলী জনিত বিদায় বেলায় হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এএসআই গোলাম রসুল। সেই সাথে তিনি পেলেন “বিদায় সংবর্ধনা” সম্মাননা স্বারক। ৭-৭-২৩

 

তারিখ রোজ শুক্রবার , খুলনা বটিয়াঘাটা থানাধীন ভান্ডারকোর্ট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে আয়য়োজিত বিদায় সংবর্ধনায় উপস্হিত ছিলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব রওশন আলী ভান্ডারকোর্ট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই(নিঃ) জনাব প্রভাষ চন্দ্র সাহা, জনাব আবুল কালাম আজাদ,সহঃ শিক্ষক বি,এল,জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আহব্বাহক ০৫ নং ভান্ডারকোর্ট ইউপি, মাওলানা ইছাহাক বিন আমীর খতিব

 

ভান্ডারকোর্ট পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সহ ভান্ডারকোর্ট ইউনিয়নের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। বিদায়ী বক্তৃতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী বলেন -মানুষ টাকা পয়সা অর্জন করে আর গোলাম রসুল অর্জন করে মানুষের ভালোবাসা,তার অজান্তে অর্জন করেছে সর্বস্হরের মানুষের ভালোবাসা। আজ এই সংবর্ধনা অনুষ্টানে এত মানুষের উপস্হিতি প্রমান করে

 

সাধারণ মানুষ তাকে কতটা ভালোবাসে। আজ পর্যন্ত আমাদের ভান্ডারকোর্ট তথা সারাদেশে সাধারন মানুষের এমন সম্মানজনক বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন কিনা আমার জানা নাই। ভান্ডারকোর্ট ক্যাম্পে দু বছর কর্মকালে প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি মানবিক কাজের এক দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন তিনি। এলাকায় ছিল মাদকের স্বর্গরাজ্য ভান্ডারকোর্ট বাসষ্টান্ড এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাই হতো তিনি ক্যাম্পে

 

যোগদানের পর ডাকাত ছিনতাইকারী মাদককারবারি সন্ত্রাসীদের তালিকা করে তাদের পিছনে কাজ করে ইতিমধ্যে ভান্ডারকোর্টে শান্তি প্রতিষ্টা করতে সক্ষম হয়েছেন। আর সবকিছু সম্ভব হয়েছে ভান্ডারকোর্ট ক্যাম্প ইনচার্জের অন্যায়ের সাথে আপোষহীন নেতৃত্বে। এছাড়া বক্তৃতায় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ চেয়েছিলেন স্বাধীনতার এত বছর আমাদের কাছে মনে হচ্ছে

 

জনবান্ধন পুলিশ আমরা পেয়েছি প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে আমরা মুগ্ধ। দেখেছি অসংখ্য পারিবারিক বিরোধ বিট পুলিশিং কার্যালয়ে মিমাংসা করেছেন তারা এখন সংসার করতেছে। ছোটছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে মুরব্বিদের সাথেও তিনি তার মিষ্টি স্বভাব-সুলভ আচরন কথাবার্তা বলতেন। খুব অল্প সময়ে তিনি তার পুলিশিং কর্মকান্ডে মানুষের মনে জাইগা করে

 

নিয়েছিলেন। বক্তৃতায় ক্যাম্প ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র সাহা বলেন পুলিশের কাজ হচ্ছে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করা বরাবরের মত আপনার সটিক কাজ নিয়ে আমাদের কাছে আসবেন এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন আপনাদের আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে সহযোগিতা করবো। বিদায়ী বক্তৃতায় গোলাম রসুল আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন আমার এত দিনের শ্রম আজ সার্থক হয়েছে যারা আজ

 

এই বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এই অর্জন আমার নয় এই অর্জন বাংলাদেশ পুলিশের এই অর্জন আমার পরিবারের আমার বাবা মায়ের! যেখানে পুলিশ সকল মানুষের কাছে ঘৃনার পাত্র সেখানে আমি পুলিশ হিসাবে আপনাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি অন্য কোন পেশায় কর্মরত থাকলে সেটা পেতাম না। বক্তৃতায় তিনি তার কর্মজীবনে দুঃসাহসিক কিছু কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং নিজে ও তার পরিবারের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top