খন্দকার ছদরুজ্জামান,নড়াইলঃ লোহাগড়ায় ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ লোহাগড়া শাখা, নড়াইল। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন লোহাগড়া বাজার ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর একজন বিনিয়োগ গ্ৰাহক। গত ২০/৬/২০২৩ তারিখ বিকাল ৪,০২ ঘটিকার সময় চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন উক্ত ব্যাংকে প্রবেশ করে এবং তার “উন্নতি”ডেপোজিট হিসাব নং ০১৫৭৩৭১০০০০০০০৪ হতে গৃহীত বিনিয়োগের হিসাব বিবরণী ও মুল ডিল পেপারস দেখতে চান। যথারীতি বাংক কর্তৃপক্ষ মুল ডিল পেপারস গুলো দেখতে দেয়, এবং পেপারস গুলো দেখা শেষ হলে হঠাৎ করে আকস্মিকভাবে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ওই মুল
ডিল পেপারস গুলো নিয়ে ব্যাংক থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পেপারস গুলো ফেরত পেতে লোহাগড়া থানা ও ইউএনও মহোদয়ের সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হয়ে, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের কাছে ডুকুমেন্ট গুলো ফেরত পেতে বারংবার গিয়ে ও ব্যর্থ হন। লোহাগড়া ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার উপায়ন্ত না পেয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মহাপরিচালক মহোদয় কে বিষয়টি অবগত করান। অনুসন্ধানে দেখা যায়, চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির মৃত্যুর সাথে এই ডকুমেন্টের বড় ধরনের রহস্য লুকিয়ে আছে বলে ধারনা করছেন,লোহাগড়ার সচেতন মহল।
চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন তার সাংঙ্গপাঙ্গ নিয়ে লর্ড স্টাইলে ব্যাংকে ঢুকে ডকুমেন্ট গুলো নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। ইতি পূর্বে সদ্য ঘটে যাওয়া লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির সাথে টাকা পয়সার হিসাব কিতাব নিয়ে ৩ দিন ধরে শেখ সাদি কে ফিলিং স্টেশনে আটকিয়ে রেখে মারধর করে তাকে বিষ সেবনে বাধ্য করেছিলেন এবং তিনি বিষ সেবন করে মারা ও গিয়েছেন। চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদদীন সুকৌশলে শেখ সাদির ওই মরাদেহ টা বাগেরহাট জেলায় তার গ্ৰামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে খুনী মামলা থেকে কোন রকম রেহাই পায়, টাকায় কি না পারে । উপরে উল্লেখিত ছিনিয়ে নেওয়া মুল ডিল পেপারস সম্পর্কে লোহাগড়া ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক পরিচালক জনাব কামাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ডুকুমেন্ট গুলো আজ ৫/ ৭/ ২০২৩ তারিখ ব্যাংকে এসে দিয়ে গিয়েছে। এখন আর কোন সমস্যা নাই।