নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় শিশু ফিরে পেল তার আপন মায়ের কোল। থানা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার দক্ষিণ চাঁদখানা সারোভাসা গ্রামের মোছাঃ নূর বানু বেগম ঢাকাতে গার্মেন্টসে কাজ করে ও তার স্বামী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন রিক্সা চালায়। তাহারা ২ সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাবন করতো। মোছাঃ নূর বানু বেগম গার্মেন্টসে কাজ করার সুবাদে একই গার্মেন্টসে কাজ করা নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউপির শরিষাবাদ বাংলা বাজার গ্রামের মোছাঃ নাসিমা আক্তার এর সহিত সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। মোছাঃ নাসিমা আক্তার এর কোন সন্তান ছিল না। মোছাঃ
নূর বানু বেগম সংসারে আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে তাহার ৩য় সন্তান মাহিম এর গর্ভকালিন সময়ে মোছাঃ নাসিমা আক্তার তাহাকে বিভিন্ন সময় আর্থিক ভাবে সাহায্য সহায়তা প্রদান করে। মোছাঃ নাসিমা আক্তার শিশু মাহিম এর জন্মের সময় ক্লিনিকের ঔষুধ পত্রের খরচও বহন করে। শিশু মাহিম জন্মের ৪০ দিন পর অসুস্থ্য হয়ে পরলে নূর বানু দম্পতি ঠিকমত চিকিৎসা করতে পারতেন না। শিশু মাহিম এর দেখাশুনা ও চিকিৎসা করতে না পেরে শিশু মাহিম এর চিকিৎসার স্বার্থে ও জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে পরিবারের সম্মতিক্রমে নাসিমা আক্তার এর নিকট শিশু মাহিমকে মৌখিক ভাবে দত্তক
দেয়। না বুঝে অভাব অনটনের সংসারে ভুল করে শিশু মাহিমকে মৌখিক ভাবে দত্তক দিয়ে নুর বানু দম্পত্তি অনুতপ্ত হয় এবং মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এ সংক্রান্তে শিশু মাহিম এর মা নূর বানু বেগম নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ করিলে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন এর নিদের্শক্রমে এসআই মোঃ মেহেদী হাসান ও নন্দীগ্রাম থানার নারী শিশু হেল্প ডেক্স অফিসার এসআই মোছাঃ ফরিদা পারভিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ শিশু মাহিমকে উদ্ধার করিয়া মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়।