কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী,ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের চাড়াখালি এলাকায় বিয়ের ৩ দিন আগে হালিম সিকদার (৪৫) নামে এক ঘটকের ধর্ষণের শিকার হয়ে ১৫ বছর বয়সী কিশোরী নববধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে স্বামীর ঘর ছাড়া হয়েছেন। হালিম সিকদার বড় কৈবর্তখালী এলাকার মৃত আজিজ সিকদারের ছেলে। তিনি পেশায় গাছ ব্যাবসায়ী এবং ঘটক। ধর্ষণের বিষয়টি এলাকার একটি মহল টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে মিমাংসার চেষ্টা চালায়। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করলে সমাজে নানা আলোচনা ও সমালোচনার
সৃষ্টি হয়। তখন সালিসদার গন এমন অপরাধের টাকার বিনিময়ে মিমাংসা থেকে পিছিয়ে পরে। পরে ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর নানা বাদী হয়ে ২৮ জুন রাতে রাজাপুর থানায় হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং- ০৯) দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানাযায় , প্রায় তের বছর পূর্বে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা ও মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং তারা পুনরায় ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার শুরু করে। সেই থেকেই ঐ কিশোরীকে তার নানা ভরন পোষন করে। অভিযুক্ত হালিম সিকদারের প্রস্তাবে গত ২৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে নুর জামান নামের এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ হয়। ২৬ জুন ২০২৩ তারিখে নুর জামান আমার নাতনিকে তার নানার বাড়ি রেখে যায় এবং তার
নানাকে জানায় যে তার নাতনি গর্ভবর্তী। নুর জামানের সাথে বিবাহের আগেই ঐ কিশোরী গর্ভবর্তী হয়েছে। তখন নানা তার নাতনি ঐ কিশোরীকে জিঙ্গেস করে জানতে পারে গত ১৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ দুপুরের সময় তাদের পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ঘটক হালিম সিকদার কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে হালিম সিকদার ধর্ষণ করে যে কারনে ঐ কিশোরী গর্ভবতী হয়।
রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর নানা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামি হালিম সিকদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।