রনিকা বসু ( মাধুরী) বিশেষ প্রতিনিধি: আজ ২৪ জুন ২০২৩ইং রোজ শনিবার সকাল ১০.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলার মওলানা মুহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের উদ্যোগে রাতের আঁধারে ফেসবুকে প্রকাশিত ওলামা লীগের বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতী মাসুম
বিল্লাহ নাফিয়ী। ওলামা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী’র সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা সুলাইমান, হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল, মাওলানা আনোয়ার শাহ, ক্বারী মাওলানা আসাদুজ্জামান, হাজী হাবিবুল্লাহ রূপগঞ্জি, হাফেজ মাওলানা আখতার হোসাইন ফারুকী, মুফতি হাসানুজ্জামান চিশতী, মাওলানা
শওকত আলী সেলিমপুরী, মাওলানা মো. আব্দুস সালাম চরনপুরী (পীরসাহেব), মাওলানা মুফতি সৈয়দ ইকবাল আহমেদ আযহারী, মাওলানা আইনুল হক ফারুকী, মাওলানা মো. লোকমান হোসাইন, মাওলানা মো. মোজাম্মেল হোসেন, মুফতী মো. নুরুদ্দিন খলিফা, মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান হাবিবী গাজিপুরী, মাওলানা মো. আমিন হোসেন আমিন, মুফতি মাওলানা ফেরদৌস আহমেদ কোরাইশী, হাফেজ মাওলানা
তৈমুর রহমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় রাতের আঁধারে প্রকাশিত আংশিক কমিটি জামায়াত-বিএনপির খেলাঘর। জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের মোর্চাও বটে। প্রকাশিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক কোন মাদরাসায় পড়ালেখা করেছে? কোন যোগ্যাতায় তাকে আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখদের সংগঠন ওলামা লীগ এর সম্পাদক বানানো হলো? এর রহস্য কি? তার
যোগ্যতা হলো সে একজন ব্যবসায়ী ও ৩ চিল্লার সাথী (তাবলীগ সা’য়াদ গ্রুপ)। এছাড়াও ইতিমধ্যে সম্পাদক আমিনুল হকের নারী নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যা সকলেরই জানা। এই যদি হয় ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদকের অবস্থা তাহলে জাতির অবস্থা হবে কি? এই ভিডিও দেখে আমরা লজ্জিত হয়েছি। সন্দেহের কারণ সমূহঃ- ১। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি/সাধারণ
সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে যারা সিভি জমা দেয়নি। এমনকি যারা কোন প্রচার-প্রচারণায়ও অংশগ্রহণ করেনি। ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক কমিটিতেও যাদের নাম নেই। এমন ধরণের লোকদেরকে প্রার্থী করে অনৈতিকভাবে পূর্বপরিকল্পিত ছক অনুযায়ী ঘরে ফসল নেয়ার যে প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। যা স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ২। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দাপ্তরিকভাবে এই কমিটি প্রকাশ করেনি ৩।
কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ওলামা লীগ এর গঠনতন্ত্রের অনুকরণ করা হয়নি ৪। কমিটির শীর্ষপদে ওলামা লীগের মূলধারার কেউ নেই ৫। প্রকাশের পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখনো পর্যন্ত অফিসিয়াল কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ৬। ১৪ জুন কমিটি অনুমোদন দেখানো হয়েছে এবং ১৫ জুন দিবাগত রাত ১২.৩০মি এ সিলবিহীন কমিটি ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। ১৯ জুন সিল
মেরে আওয়ামী লীগের দপ্তরের কর্মচারী রনির হাতে জমা দিয়ে রিসিভ করানো হয়েছে (পুরো বিষয়টাই রহস্যে ঘেরা) ৭। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বাহিরে গিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা সাগর আহমদ শাহীনকে কার্যকরী সভাপতি পদ দিয়ে পুরো কমিটি জায়েজ করার অপকৌশল। মমিন সিরাজী আহবায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ওলামা লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছল্য করে সম্বোধন ও সর্বোপরি
অহংকারীভাব। এরা নিঃসন্দেহে জামায়াত-বিএনপির গুপ্তচর হিসেবে কৌশলে অনুপ্রবেশ করেছে। এদেরকে পরিকল্পিতভাবো আওয়ামী লীগে ঢুকানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষের শক্তির মানুষগুলোকে নিধন করার জন্য। আন্দোলন শুরু হলে এরাই নেতাকর্মীকে হত্যা করে অন্যের ওপর দায়ভার চাপানোর অপচেষ্টা করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও নিরাপদ থাকবেনা। দাবি সমূহ:- ১। ১৫ জুন ২০২৩ দিবাগত রাত
১২,৩০ মিঃ এ রাতের আঁধারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশিত ওলামা লীগের বিতর্কিত পকেট কমিটি বাতিল করতে হবে ২। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি চার্জ কমিটি গঠন করে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে যারা বৃষ্টিতে ভিজে রৌদ্রে শুকিয়ে মাননীয় নেত্রীর নেতৃত্বের প্রতি আস্তা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করেছে বা করছে তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাচাই’র মাধ্যমে সভাপতি/
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করাসহ ত্যাগী নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি সুন্দর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে ৩। এই অনৈতিক তৎপরতার সাথে যারা জড়িত তারা দলের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তাদের রাজনৈতিক অবস্থাও আজ প্রশ্নবিদ্ধ বলে আমরা মনে করি। হয়ত মনের অজান্তে অর্থের লোভে জামায়াত-বিএনপির অপকৌশলে পা দিয়ে এই অপকর্মটি করেছে যা দলের জন্য আত্মঘাতীর শামিল। তদন্তপূর্বক এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া অতীব প্রয়োজন।