শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার:::: রংপুরে ই-ক্যাব উইমেন ফোরাম ও সর্বজয়া নারী উদ্যোক্তা সংস্থার যৌথ আয়োজনে তিন দিনব্যাপি এই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত। শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে অনুষ্ঠিত উদ্যোক্তা উন্নয়ন মেলা-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ই-ক্যাব উইমেন ফোরাম ও সর্বজয়া নারী উদ্যোক্তা সংস্থার যৌথ
আয়োজনে তিন দিনব্যাপি এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ৪ নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাওসার পারভীন, জেলার সহকারী তথ্য অফিসার আফসারা আখতার, তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের রংপুর প্রোগ্রামার কেয়া রাণী, দিনাজপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জান্নাতুস সাফা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ই-ক্যাব উইমেন ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার। সভাপতির বক্তব্যে শমী কায়সার বলেন, একজন নারীর পথচলা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমি অল্প বয়স থেকে অভিনয় করি, অভিনয় ছাড়া জীবনে কোনো কিছু তখন শিখিনি। আমি উদ্যোক্তা
হবো সেটা নিয়ে আমার কখনো ভাবনাও ছিল না। কিন্তু আমি আমার মায়ের অনুপ্রেরণা থেকে উদ্যোক্তা পর্যায়ে এসেছি। তিনি আরও বলেন, কোনো নারী যেন শিক্ষা বঞ্চিত না হয় সেজন্য সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্যদিয়ে নারী উদ্যোক্তা বাড়ছে, নারী সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির যে প্রসার ঘটেছে, তার সফল আজকের ই-কমার্স
অ্যাসোসিয়েশন। আরো বলেন বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের যে অবদান তা আমাদের কারও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর সামাজিক ক্ষমতায়ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষমতায়ন হয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই জাতি কৃতজ্ঞ থাকবে। জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেছেন, প্রতিকূলতা থাকবে কিন্তু সেটিকে
ভেঙে দিয়ে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, পরস্পরের সঙ্গে হাতে হাত রেখে সবাই আমরা বন্ধুর মতো এগিয়ে যাব। এখন তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। নারীদের কাজের যে বৈশিষ্ট্য এবং উদ্ভাবনী শক্তি সেটি পৃথিবীর সবপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আমরা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা কর্নার তৈরি করাসহ উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী প্রদর্শনীতে সহায়তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, নারীরা শুধু বাবা কিংবা স্বামীর পরিচয়ে নয় বরং নিজের পরিচয়েও স্বাবলম্বী হতে শিখেছেন। যার উদাহরণ দেশে এখন সর্বক্ষেত্রে নারীদের জয়জয়কার। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ সমানভাবে বাড়ছে বলে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হয়েছে। নারীরা এখন দেশের অন্যতম উন্নয়নযোদ্ধা। শিক্ষিত, দক্ষ, পরিশ্রমী ও উদ্ভাবনী শক্তি সম্পন্ন সৃজনশীল নারীরা এখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তিন দিনের এ মেলায় অংশ নেয় ইতি ইতি, মৌ বুটিকস,এনজেল বিউটি পার্লার, সৌখিন শপ ফ্যামিলি, পারুর চারুতা বাহারি সাজ, সাথি হ্যান্ডি ক্রাফট, ঘরোয়া, গুনগুন ফ্যাশান, রুমিস কালেকশন, ইওর উইস সাজুনী, আজকের অন্যনাসহ ৩০টির অধিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা সাধারণত স্থানীয় পোশাক, খাবার, প্রসাধনী নিয়ে কাজ করে থাকেন। এ ধরনের মেলায় অংশ নিয়ে তারা আনন্দিত। এ মেলার মাধ্যমে তাদের বিক্রি বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং হয়েছে।