খুলনা বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে ৩০ লক্ষ টাকায় দরদাম তক্ষক প্রানীসহ দুই প্রতারককে আটক

 শফিয়ার রহমান  পাইকগাছা খুলনা ঃ   খুলনা বটিয়াঘাটা থানার রামভদ্রপুর গ্রামের মুন্নাফ এর পুত্র অলিদ এর নিকট রক্ষিত প্রায় ১৬ ইন্চি লম্বা একটি তক্ষক ১ কোটি টাকা বিক্রি করবে এমনটা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ বটিয়াঘাটা থানার সুনির্দেশনায় প্রতারকচক্রটি ধরতে মাষ্টারপ্লান করা হয়। ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে বস বেসে ব্যাগভর্তি টাকা (টাকা নয় ছিল পিস্তল ওয়ারলেজ সেট হ্যান্ডক্যাপ

 

আর লুঙ্গি গামছা) সহ৩ জন পুলিশ অলিদের বাড়ির পিছনে পৌছায় ২২/৬/২৩ তাং রাত্র ১০ ঘটিকার সময়। কথামত ১ টি বন্যপ্রানী তক্ষক সিমেন্টের ব্যাগে করে অলিদের বাড়ির পেছনে আনে ৬ জনের একটি প্রতারক চক্র। ৩০ লক্ষ টাকায় দরদাম পরবর্তী টাকা ও মাল হস্তান্তর গ্রহন এর সময় তক্ষক সহ ২ জনকে হাতে নাতে আটক করা গেলেও বাকি ৪/৫ জন পালিয়ে যায়। উদ্ধার অভিযানে ছিলেন ভান্ডারকোর্ট

 

পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই (নিঃ) প্রভাষ চন্দ্র শাহা – এএসআই (নিঃ) গোলাম রসুল এএসআই(নিঃ) আলম সরদার সংগীয় পুলিশ সদস্য ৪ জন। আটককৃতরা হলেন খুলনা বটিয়াঘাটা থানার খারাবাদ বাইনতলা গ্রামের সবুর শেখের পুত্র মনিরুল শেখ(৪৫) কেসমত কুড়িঘাটা গ্রামের তায়েব ফকিরের পুত্র মোঃ ইমরুল ফকির(৩৮)সে সময় রামভদ্রপুর গ্রামের মূল প্রতারক মুন্নাফ শেখের ছেলে অলিদ শেখ ও রুস্তমের ছেলে

 

ছায়েদুল সহ অজ্ঞাতনামা ২ জন পালিয়ে যায়। আটককৃতদের দখল হইতে একটি সাড়ে ১৩ ইঞ্চি লম্বা বন্যপ্রাণী তক্ষক উদ্ধার হয়। স্হানীয় সাক্ষীদের সম্মুখে উক্ত বন্যপ্রানী জব্দ করেন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক জনাব প্রভাষ চন্দ্র শাহা তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বটিয়াঘাটা থানায় এজাহার দাখিল করেন। বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শওকত কবির জানান ঈদকে সামনে

 

রেখে চোর ডাকাত মাদককারবারি প্রতারক পার্টি সক্রিয় হচ্ছে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা নিরলস ভাবে সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে চলেছি। অপরাধ করলে সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top