দিঘলিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলার নয় আসামি গ্রেফতার

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনাঃ দিঘলিয়া থানা পুলিশের অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দিঘলিয়া থানার গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন মামালার ৯ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। উল্লেখ্য ইদানিং দিঘলিয়া থানা এলাকায় অপরাধের ও অপরাধীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিছু কিছু অপরাধীরা দিঘলিয়া থানা এলাকাকে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় স্থলে পরিণত করেছে। নানা দল ও মতের লেভাসে মিলেমিশে থেকে রাতের বেলা নানা অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এর আগে দিঘলিয়ার বাইরে ঘটালেও বর্তমান সময়ে এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ

নানা অপরাধ বেড়েই চলেছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। থানা পুলিশের অভিযানে অপরাধীরা গ্রেফতার হলেও থেমে নেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি। দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী জাকির হোসেনের মৃত্যুর পর বারাকপুর ইউনিয়ন জুড়ে চলছিল নিরব চাঁদাবাজি ও মাদকের রমরমা ব্যবসা। দিঘলিয়া থানা পুলিশের সাড়াশী অভিযানে বারাকপুর এখন প্রায় শান্ত। সম্প্রতি সময়ে চন্দনীমহল, দিঘলিয়া, দেয়াড়া ও ঘোষগাতি এলাকায় বেশ কিছু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। দিঘলিয়া থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অপরাধীদের গ্রেফতার করে

জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গতকাল দিঘলিয়া থানা পুলিশ দিঘলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিয়মিত মামলার ৭ জনসহ অন্য মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অনেক অপরাধীরা দিনের আলোতে বিভিন্ন দল ও মতের নেতৃত্বের সাথে মিশে সাদা পোশাকে সমাজে চলাচল করে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের সিলও আছে। কোনো কোনো সময় এদের জনপ্রতিনিধিদের উপেক্ষা করে সমাজে বিচারকের আসনেও দেখা যায়। তাদের রাতের আঁধারে রূপ হয় ভিন্ন। আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার চোখ এড়িয়ে এদের বিচরণ। কারণ হিসেবে এলাকাবাসী জানান, সমাজের নামীদামী লোকদের সাথে এদের চলাফেরা। যে কারণে কেউ এদের ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top