অম্তর আহমেদ নওগাঁঃ জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাংবাদিকরা। রোববার (১৮ জুন) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ, নওগাঁ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর ব্যনারে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানবন্ধনে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের
সভাপতি কায়েস উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শফিক ছোটন, সাবেক সভাপতি নবির উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদুল করিম, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন
নওগাঁর সভাপতি এসএম আজাদ হোসেন মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নয়ন,নওগাঁ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি রায়হান আলম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান জয়, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম নওগাঁর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেনসসহ অন্যান্যরা। মানববন্ধনে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই সাংবাদিকরা হামলার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তার কোনো বিচার হচ্ছে না। আজ সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার না হওয়ায় জামালপুরের সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারহীনতার কারণে আজকে গোলাম রব্বানী নাদিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের সুষ্ঠু বিচারের
আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে আর কোন সাংবাদিককে নাদিমের মতো জীবন হারাতে না হয়। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বানী নাদিম বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে। বুধবার (১৪ জুন) রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।