দাকোপে চালনা পৌরসভার খাল ও পুকুর খননের নামে চলছে পুকুর চুরি

শচীন্দ্রনাথ মন্ডল,দাকোপ,(খুলনা) ঃ খুলনার দাকোপে চালনা পৌরসভায় দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প (জিওবি এবং এডিবি) এর আওতায় চালনা খাল,আঁচাভূয়া খাল, মেঝ খলিশা খাল, পৌরসভা পুকুর ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সামনে পুকুর খনন ও পুকুরের পাড় বøক দিয়ে বাঁধানোর কাজ শেষের পথে। এ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর মোল্যা। গত ০৬ জুন তিনি উক্ত কাজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে

একটি আভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে,জেলা প্রশাসক খুলনা,বিভাগীয় কমিশনার খুলনা এবং দূর্নীতি দমন কমিশন খুলনাকে। তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে,রিলায়েবল বিল্ডার্স আল মামুন এন্টারপ্রাইজ(জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজগুলি করছে। এই কাজের মোট বরাদ্দ ২৬,৩৯,৭২৪.২৮ টাকা। চুক্তিমূল্য ২৩,৭৩,৫৮.২৯৪.৯৪ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে অথচ প্রকল্প এলাকায় এই কাজের কোনো সাইনবোর্ড নেই। খাল খনন না করে খালের দু’পাড় চেচে দৃশ্যমান করা হয়েছে। চালনা খাল খননে যে সামান্য মাটি উঠেছিল তা আবার হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। মাটির কিছু অংশ দিয়ে পৌরসভা এবং পরিবার পরিকল্পা অফিসের পাড় বাাঁধানো হয়েছে। আচাভূয়া খাল ঠিকমত খনন করা হয়নি তার মধ্যে অনেক স্থাপনা এবং আড়াআড়ি একাধিক বাঁধ

এখনও রয়ে গেছে। খালের পানি নদিতে সরানোর ব্যবস্থা যথাযথ ভাবে হয়নি। লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে পুকুর খনন না করে অপরিকল্পিত্ভাবে ¯øাব বাইন্ডিং করা হয়েছে যা কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই ধসে পড়ছে। পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পুকুর খনন না করে শুধুমাত্র পাড় বাঁধাই করে চালনা ক্যানেলের পানি দিয়ে ভরে দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরুর তারিখ ছিল ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ এবং কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৪ ফেব্্রুয়ারী ২০২৩ কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় শেষ করার তারিখ পুনরায় বাড়ানো হয়েছিল ১১ জুন ২০২৩ পর্যন্ত। তিনি বলেন, কাজ ঠিকমত না করায় সরকারী অর্থের অহেতুক অপচয় হচ্ছে এবং সরকারের কাঙ্খিত উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত সেবা থেকে। খনন শেষ না হতে পুকুর কেন পানি দিয়ে

ভরা হয়েছে এ কথা জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করিয়ে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা শাহিনুল জানান বিষয়টি আমি জানিনা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলতে পারবেন। পৗরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী রতন কুমার মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কার নির্দেশে ক্যানেলের পানি দিয়ে পুকুর ভরা হয়েছে বিষয়টি আমি কিছুই জানি না। কত শতাংশ কাজ আজ পর্যন্ত হয়েছে জানতে চাইলে উপ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার জানান এ পর্যন্ত কাজ গুলির ৮২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সরেজমিনে দেখাযায় খাল খনন ঠিকমত হয়নি। নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই বলেন, দায়শারাভাবে খাল খনন হয়েছে।খালের তলদেশ খনন না করে শুধু পাড় চাচা হয়েছে। পুকুর দু’টি খনন না করে ¯øাব দিয়ে পুকুরের পাড় বাইন্ডিং করা হয়েছে যা অনেক স্থানে ধসে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা এ্যাড.মহানন্দ সরকার

বলেন, পৌরসভা ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পুকুরের তলদেশ খনন করা হয়নি খালের মাটি দিয়ে পাড় বাাঁধা হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে ¯øাব বসানো হয়েছে সেকারণে সেগুলি ধসে পড়ছে। পুকুর খনন না করে ক্যানেলের পানি দিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পুকুর ভরে দেওয়া হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের কাজের বিষয়ে পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, কাজ ডিজাইন মত হচ্ছে এখানে কোনো অনিয়ম ও দূর্নীতি হচ্ছে না । তিনি আরও জানান কাজের মেয়াদ এখনও অক্টোবর মাস পর্যন্ত রয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভিন সুলতানার কাছে অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top