মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী কর্তৃক আবুলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে অভিযোগ, তদন্তের দায়িত্ব এসপিকে

  নিজস্ব প্রতিনিধি : এবার আবুল হোসেন মোড়লের  বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  বরাবরে অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী মোড়ল , তদন্তের দায়িত্ব সাতক্ষীরার এসপিকে,  ৩ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ ৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহন । গত ২ মে ২০২৩ ইং সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের পশ্চিম নারায়ণপুরের  বীর মুক্তিযোদ্ধা  আরশাদ আলী মোড়ল একই এলাকার আবুল হোসেন মোড়ল পিতা

 

আদর আলী মোড়ল এর বিরুদ্ধে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন আবুল হোসেন সহ তার সহযোগীরা পরস্পর  সন্ত্রাসী তারা পরসম্পদ লোভী প্রকৃতির ব্যক্তি ইতিপূর্বে আবুল হোসেন মোড়ল  এর  বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বাঁধানো ছবি ভাঙচুর ও পদদলিত করা সহ জাতীয় পতাকা পোড়ানো, কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়

 

ভাঙচুর আওয়ামী নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন এবং দেশত্যাগের হুমকি প্রদান, অন্যের জমি জোরপূর্বক জবর  দখল করা সহ একাধিক মামলা চলমান রহিআছে। উক্ত ব্যক্তি সুকৌশলে আওয়ামী লীগের ভেতরে অনুপ্রবেশ করে এবং সন্ত্রাস বাহিনী গঠন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকার নিরীহ মানুষের উপর জুলুম জমি দখল মিথ্যা

 

মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ সহ তার ছেলে  রবিউল আলমের ক্রয়কৃত ও নিজ নামে রেকর্ডিয় সম্পত্তিতে নির্মিত বসতবাড়ি ভাঙচুর  করে উক্ত জমি দখল করে নেয় এরপর গত ১০-৫-২০১৯ ইং তারিখ পবিত্র রমজান মাসে শুক্রবার দুপুর অনুমান ২:০০ ঘটিকার সময় স্থানীয় মসজিদের জুমার নামাজ শেষে মসজিদের বারান্দায় আবুল হোসেন মোড়ল  তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ে  তাকে রোজাদার অবস্থায় মারপিট

 

করে ও অকথ্য  ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আবুল হোসেন আরশাদ আলী  মোড়লের গালে চড় মারে দাড়ি ধরিয়া টানা হেছড়া করে  মাটিতে ফেলে দেয় তার সাথে থাকা অন্যান্যরা তাকে মারপিট করে এবং মসজিদের দেয়ালের গ্রিলে আঘাত করে এবং তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা করেন  তার চিৎকারে উপস্থিত মুসল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন সহ, আজিজুর রহমান ,মনসুর আলী ,মোখলেসুর রহমান ,

 

শহিদুল ইসলাম , রুহুল আমিন সর্বসাং পশ্চিম নারায়ণপুর থানা কালিগঞ্জ জেলা সাতক্ষীরা সহ উপস্থিত মুসল্লীরা এগিয়ে আসলে আবুল হোসেন মোড়ল সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় । এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করে এবং পরদিন ১১, ৫ ২০১৯ ইং তারিখ স্থানীয় একাধিক পত্র পত্রিকা ঘটনাটি প্রকাশিত হয় এবং সেই দিন তিনি থানায় অভিযোগ করেন এবং থানা প্রশাসন বিষয়টি মীমাংসার জন্য

 

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর ন্যস্ত করেন কিন্তু তারা দেরী করায় এবং মীমাংসা না করার কারণে আবুল হোসেন মোড়ল এরপর থেকে তার উপর আরো নির্যাতন বাড়িয়ে দেন একপর্যায়ে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী মোড়লের নামে সরকারিভাবে একটি ঘর বরাদ্দ হলে সেই ঘর সরকারিভাবে উঠাইতে আসলে  আবুল হোসেন মোড়ল তার  সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাধা প্রদান করেন এবং

 

মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা করেন তাই এখনো পর্যন্ত ঘরটি তুলতে পারেনি  এবং বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বাড়ির আশেপাশে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘোরাফেরা করে এবং নিয়মিত প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন কুল কিনারা না পেয়ে তিনি প্রধান মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন । এর আগে আরশাদ আলী

 

মোড়ল আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে, আবুল হোসেনকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ  করেন এবং তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন ।   এ ব্যাপারে আবুল হোসেন মোড়লের কাছে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী মোড়ল এর  অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট তিনি তার সাথে এমন কিছু কখনো করেনি আর করার ইচ্ছেও নেই বলে তিনি জানান ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top