খন্দকার সাইফুল নড়াইল ::: নড়াইল সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়নে দূত-পাতাল বিলে ৩০০ বিঘা পতিত জমিতে ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখায় স্বপ্ন দেখছেন ওই অঞ্চলের হাজারো কৃষক পরিবার। দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতার কারনে সঠিক সময়ে ফসল রোপন করতে পারতেন না স্থানীয় কৃষকরা। যার ফলে দূত-পাতাল বিলে অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকত তিনশত বিঘা জমি। পতিত এই জমিতে চাষাবাদ
করে ভাগ্য ফিরাতে ৩ বছর ধরে স্থানীয়দের নিয়ে মিটিং করে আলোচনা করে ক্যানাল ভিত্তিক খাল খননের উদ্যোগ নেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখর বিশ্বাস। গ্রাম বাসিদের সাথে নিয়ে যে যা পারে তাই দিয়ে টাকা যোগাড় করে শুরু করেন কেনাল ভিত্তিক খাল খননের কাজ। ইতিমধ্যে খাল খননের কাজ শেষ হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেনাল ভিত্তিক এই খাল খননের জন্য ওই বিলের প্রায় তিনশত বিঘা জমির
জলাবদ্ধতার নিরাসন হয়েছে। চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠেছে পতিত জমি-সমূহ৷ জমি গুলোতে তিন ফসলি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। জমির মালিক কৃষক তবিবুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতার কারনে আমরা এই জমিতে কোন ফসল উৎপাদন করতে পারতাম না। ইউপি মেম্বার শেখর বিশ্বাসের উদ্যোগে আমরা সকলে একত্রিত হয়ে এই কেনাল ভিত্তিক খাল খনন করেছি। এখন থেকে
এই বিলে ৩ টি ফসল উৎপাদন করা যাবে। যা জেলার কৃষিতে একটি বড় ভূমিকা রাখবে। শোলপুর গ্রামের সুনাম মন্ডল বলেন, মেম্বর শেখর বিশ্বাস আমাদের একত্রিত করে এই খাল খনন করেছে। যার ফলে আমরা সকলে উপকৃত হয়েছি। খাল খননের জন্য অনাবাদি এই জমি ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর শেখর বিশ্বাস বলেন, এই
মাঠে ৫ থেকে ৭ টি গ্রামের প্রায় হাজারো পরিবারের জমি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারনে কেউ ফসল উৎপাদন করতে পারেনা। জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য কেনাল ভিত্তিক খাল খননের জন্য আমি ৩ বছর ধরে সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেছি। সকলে আমার সাথে এক মত হয়ে খাল খননের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে সকলের সহযোগিতায় যে যা পাওে সেই টাকা উত্তোলন করে এই খাল খনন করা হয়েছে। যার ফলে
এই দূত-পাতালের বিলের কৃষকেরা নতুন করে ৩ ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা খুজে পেয়েছে। স্থানীয় সরকার বিষয়টি নজরে দিলে কেনাল ভিত্তিক এই খালটি আরো সুন্দর হবে। যার ফলে ৭ টি গ্রামের হাজারো পরিবার তাদের জমিতে ৩ টি ফসল ঘরে তুলতে পারবে। এই কৃষি পণ্য নড়াইলে কৃষিতে একটি বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম
হিটু বলেন,আমরা চেষ্টা করেছিলাম সরকারী ভাবে এখানে একটি খাল খনন করার জন্য। তার আগেই এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কেনাল টি খনন করা হয়েছে। এতে করে অনেক ফসল উৎপাদন হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন,আমাদের নজরে বিষয়টি এসেছে। আমরা চেষ্টা করবো মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প দিয়ে এখানে একটি খাল খনন করার।