নড়াইলে তিন সাংবাদিকের নামে তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা

 খন্দকার ছদরুজ্জামান, নড়াইল ::::: নড়াইলের লোহাগড়ায় তিন জন সাংবাদিকের নামে কোনো তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা নিয়েছেন লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দিন । মিথ্যা মামলার শিকার হলেন ৩ সাংবাদিক,আর সেই ৩ সাংবাদিক হলেন লোহাগড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মনির খান, জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার (লোহাগড়া উপজেলা প্রতিনিধি)।

 

রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ নয়ন, জাতীয় দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার (স্টাফ রিপোর্টার) ও সাংবাদিক মোঃ আজিজুর বিশ্বাস, জাতীয় দৈনিক আই বার্তা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি, এদের বিরুদ্ধে থানায় কোন তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলার ৮ নং দিঘলিয়া ইউনিয়নের সারোল গ্রামের মৃত মোকাম শেখের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন(৪৫) (গ্রাম পুলিশ) বাদী হয়ে ৩ জুন

 

রাত ৮ টা ১৫ মিনিটের সময় সাংবাদিক মোঃ আজিজুর বিশ্বাস, সাংবাদিক মোঃ মনির খান, সাংবাদিক শেখ নয়ন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া মামলাটি দায়ের করেছেন। যেখানে মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলায় ওই গ্রাম পুলিশ আলমগীর হোসেন উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন সেখানে একটি মানববন্ধন ছিল, মানববন্ধনের ভিডিও শেষে তার থেকে নাকি ২০

 

হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল বলে তিনজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মোট সাতজন সাংবাদিকের নামে চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছেন । অথচ অনুসন্ধানে পরিস্কার ভাবে বেরিয়ে এসেছে, গ্ৰাম পুলিশ বকুল হত্যার মানব বন্ধনে সাংবাদিক মনির খান ও সাংবাদিক শেখ নয়ন উপস্থিত ছিলেন না। গ্ৰাম পুলিশ বকুল হত্যার মানব বন্ধনের সময় ও মানব বন্ধনের পরের সময় সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস ও চেয়ারম্যান বোরহান

 

উদ্দিনের মধ্যে কি ঘটনা ঘটেছিল সেটা সাংবাদিক মনির খান ও সাংবাদিক শেখ নয়ন কিছু ই জানে না। কারন এই ২ জন ওখানে উপস্থিত ছিলেন না। চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন ও সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাসের ২জনের মধ্যে হাতা হাতির ঘটনার পর সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস মোবাইল ফোনে সাংবাদিক মনির খান কে বলেন, আপনি কোথায় উপজেলা গেটে মারামারি বেঁধেছে তাড়াতাড়ি আসেন। খবর পেয়ে

 

সাংবাদিক মনির খান উপজেলা গেটে গিয়ে দেখতে পায় চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন তার ড্রাইভার সোহাগ কে হকি স্টিক নিয়ে আসতে বলে এবং হকিস্টিক দিয়ে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস কে ধাওয়া করে নিয়ে গিয়ে মাহাবুরের মোটরসাইকেল গ্যারেজের ভিতরে ফেলে মারপিট করে। অথচ ঘটনাস্থলে দুই জন সাংবাদিক মনির খান ও সাংবাদিক শেখ নয়ন উপস্থিত না থেকেও তাদের চাঁদাবাজি মামলায় আসামি করা

 

হয়েছে। জানা যায় যে,বৃহস্পতিবার ১জুন লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে পূর্বের প্রকাশিত দুর্নীতি ও অনিয় নিউজ করার কারনে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস ও চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়, এবং গ্রাম পুলিশ বকুল হত্যার মানববন্ধন কে চেয়ারম্যান বোরহানউদ্দিন পুঁজি করে নিজে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হকিস্টিক দিয়ে সাংবাদিক দৈনিক আই

 

বার্তা পত্রিকার (বিশেষ প্রতিনিধি) সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস কে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস। চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন ওই সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রম দাঙ্গা হাঙ্গামা চালিয়ে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস কে হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে ফেলে যায়। আহত সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস কে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এনে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া

 

হয়। এ ঘটনা দিন রাতেই সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস লোহাগড়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। ঘটনার তিনদিন পার হলেও থানা থেকে মামলা এজাহার ভুক্ত না করায়। আজিজুর বিশ্বাসের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি বিএমএসএস এর সকল কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ এবং লোহাগড়ার সাংবাদিক সমাজ (৩ জুন)

 

বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার সামনে একটি মানববন্ধন করেন । পরে ওই দিন রাতে ৮ টা ২৫ মিনিটের সময় সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাসের দেয়া মামলাটি রুজু হয়। এদিকে ৩ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় এবং কোন তদন্ত না করেই একটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজি মামলা রেকর্ড করার ঘটনায় সাংবাদিকগণ চরম ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের

 

দাবি জানানোর পাশাপাশি মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের কৃত কারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাংবাদিক সমাজ। এছাড়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান তার পোষা বাহিনীর এক সদস্যকে ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় সাংবাদিকদের দমন করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিনের সহযোগিতায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিছেন সাংবাদিক সমাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *