খন্দকার ছদরুজ্জামান, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামে বেড়ীবাঁধ না থাকার কারনে কোটাকোল, মল্লিকপুর, দিঘলিয়া এবং লোহাগড়া ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার একর জমির ফসল প্রতিবছরই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় প্রতিবছর পার্শ্ববর্তী মধুমতি নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ফসলী জমিতে নদীর পানি প্রবেশ করে
জমির ফসলের ক্ষতি করে গত দুই বছর কৃষকরা গ্রাম থেকে টাকা কালেকশন করে ছোট করে বাধ নির্মাণ করে কিন্তু প্রতিবছরই তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে বিলে পানি প্রবেশ করে । কৃষকরা সঠিকভাবে চাষাবাদ করতে পারে না ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটাকোল ঘাঘা, কুড়ালতলা, যোগিয়া, বারপাড়া,মৌজে মধুমতী নদীর পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাধ নির্মাণের লক্ষ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে প্রায় এক বছর
পূর্বে কার্যাদেশ প্রদান করেন। কিন্তু জমি অধিগ্রহ না হওয়ায় বেড়ীবাধ নির্মাণের কাজ এখনো পর্যন্ত হয়নি, ফলে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি প্রবেশ করে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত অত্র এলাকার কৃষকরা। এলাকাবাসীর দাবি জমি অধিগ্রহণের
দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অযৌক্তিক সময় ক্ষেপণ ও অবহেলার কারণে যাতে বেড়িবাধের কাজ থেমে না থাকে সে ব্যাপারে শত শত গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর দ্রুত কাজ শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে দরখাস্ত প্রদান করা হয়।