কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ি দূর্গে ডেঙ্গু মিয়া/মালের সমাধি স্থলে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে খননে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী ও সংরক্ষিত প্রত্নস্থল সুরক্ষা বিষয়ক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ মে) বিকাল সাড়ে তিনটায় আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ,প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব চন্দন কুমার দে।এর আগে তিনি শুক্র ও শনি (১৯ ও ২০ মে) দু’দিনব্যাপী প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী মেলার শুভ
উদ্বোধন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল,সহকারী কর কমিশনার (ভূমি)রাজিব হোসেন ভূইয়া,প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ডিএস মাইনুর রহিম,প্রত্নতত্ত্ব কার্যালয়, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আফরুজা খান মিতা,সহকারী পরিচালক হালিমা আফরোজ, লালবাগ দূর্গ যাদুঘরের কাস্টডিয়ান মুখলেছুর রহমান ভূঞা, চট্টগ্রাম জাতিতাত্ত্বিক যাদুঘরের ফিল্ড অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রোয়াইলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আকন্দ,স্থানীয় নেতৃবৃন্দ,সচেতন নাগরিকবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ । প্রধান অতিথির বক্তব্যে চন্দন কুমার দে বলেন,এটি একটি ঐতিহাসিক জায়গা।
এখান থেকে যে সংগৃহীত ও সংরক্ষিত বিষয়গুলো আছে তা যদি আমরা সবার কাছে তুলে ধরতে পারি তাহলে ময়মনসিংহ ও আশেপাশের মানুষের এগুলো জানতে আরো সহজ হবে। উল্লেখ্য, রোয়াইলবাড়ি দূর্গটির আরেক নাম কোটবাড়ি দূর্গ।ধারণা করা হয় বেতাই নদীর তীরে গড়ে ওঠা এ দূর্গ সুলতানী আমলের শেষে ও মোঘল আমলের শুরুতে স্থাপিত স্থাপত্য।১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দূ্র্গটিকে সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষনা করে এবং ১৯৯১-১৯৯৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রথম খনন কাজ শুরু করে।