মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট::::::বাগেরহাট জাদুঘর, স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাগেরহাটে পালিত হলো আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাট গম্বুজ মসজিদের পাশেই নির্মিত বাগেরহাট জাদুঘরে মুসলিম সংস্কৃতি ও খানজাহান আলীর স্মৃতি সহ জেলার সংগৃহীত প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য জাদুঘর টি ২০০১ সালের সেপ্টেমবর মাসে উন্মুক্ত করা হয়। বাগেরহাট জাদুঘর, প্রত্নতও্ব অধিদপ্তর ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণলায়ের আয়জনে
বাগেরহাট জাদুঘর কাষ্টোডিয়ান মোঃ যায়েদ এর সভাপতিত্বে ১৮ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বাগেরহাট শহরের সুন্দরঘোনায় ষাট গম্বুজ মসজিদে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাসনিম,ষাট গম্বুজ মসজিদের ঈমান হেলাল উদ্দিন সহ ষাটগম্বুজ মসজিদে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। বাগেরহাট জাদুঘর ভবনে সহাপত্যিক বৈশিষ্ট্য ইসলামী
সহাপত্যকলাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এই জেলা সম্পর্কিত অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক পাওয়া যাবে এখানে। রয়েছে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া স্মৃতিচিহ্ন, মুদ্রা, বাসন, তৈজসপত্র, মানচিত্র, আরো আছে লিপিবদ্ধ ইতিহাস। আকর্ষনীয় হিসেবে রয়েছে সারাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মসজিদ ও পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনার সুন্দর সুন্দর সব ছবি, এক লহমায় মনে হবে মিনি বাংলাদেশ। সবচেয়ে আকর্ষনীয় হচ্ছে খান জাহান আলির ঐতিহাসিক কুমিরের মমি। প্রাপ্ত তথ্য মতে কালাপাহাড় বা ধলাপাহাড়ের মৃত শরীরকে মমি করে অথবা শুধু চামড়া দিয়ে এই ডামি বানানো হয়েছে। যদিও মাথাটি সম্পূর্ণই কৃত্রিম।